মহসীন উদ্দিন : রাজধানীতে কয়েক দফা ভারী বর্ষণে জনজীবনে ভোগান্তি নেমে এসেছ্।ে ছাত্র-ছাত্রীরা সময়মত স্কুল-কলেজে যেতে পারেনি। অফিসগামী ও পথচারীরা ঘর থেকে বের হয়েই পড়েন বিপাকে। ভারী বর্ষণে রাজধানীর নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। কোনো কোনো এলাকা কোমর সমান পানিতে তলিয়ে গেছে। আবহাওয়া বিভাগ বলছে, মৌসুমী বায়ু সক্রিয় হওয়ার কারণে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা তৈরি হচ্ছে। আর এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
এই অবস্থায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা বলা হয়। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। রাজধানীতে ভোরে এক দফা ভারী বৃষ্টিপাত হয়। এরপর থেমে থেমে বৃষ্টি হতে থাকে। দুপুরে সময় শুরু হয় ঝুম বৃষ্টি। কারও কারও জন্য এই বৃষ্টি স্বস্তি বয়ে আনলেও অনেকেই এই হঠাৎ বৃষ্টিতে ভোগান্তিতে পড়েন। সকাল থেকেই রাজধানীর আকাশ ছিল মেঘলা। টিপ টিপ করে বৃষ্টিও পড়ছিল। রাজধানীর অনেক স্থানে পানিতে গাড়ি আটকে যায়। সেই সাথে যানজটের সৃষ্টি হয়। পথচারীরা এই বৃষ্টির জন্য মোটেও তৈরি ছিলেন না। ছাতা যাদের হাতে ছিল না তাদের কাকভেজা হতে হয়। কেউ কেউ আশ্রয় নেয় যাত্রীছাউনি বা দোকানের নিচে। হঠাৎ বৃষ্টির কারণে রিকশার ভেতর গুটিসুটি হয়ে বসে থাকতে দেখা যায় চালকদের।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, এখন দেশে মৌসুমি বায়ু অত্যন্ত সক্রিয়। তাই এর ফলে রাজধানীসহ সারা দেশের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টি হচ্ছে। কোথাও কোথাও ভারী বৃষ্টির সংকেত রয়েছে। রংপুর, সিলেট ও চট্টগ্রামে এখন সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। তবে মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে রাজধানীতেও কয়েক দিন বৃষ্টি চলতে পারে। আধা ঘণ্টার বৃষ্টিতে রাজধানীর পান্থপথ, নিউমার্কেট, শান্তিনগর, মগবাজার, মিরপুর-১০, শেওড়াপাড়া, ধানমন্ডি হকার্স মার্কেটসহ বিভিন্ন স্থানে কোমর পানি জমে যায়। পান্থপথ এলাকার বাসিন্দা আহমেদ সুমন এই হঠাৎ বৃষ্টিতে রাস্তায় বের হয়েই বিপাকে পড়েন। তিনি বলেন, ‘বাইরে বের হওয়ার সময় ছাতা নিয়ে বের হইনি, কে জানত এত জোরে বৃষ্টি হবে! ভিজে গেছি। বাসায় গিয়ে আবার পোশাক বদলে বের হব।’ শেওড়াপাড়া থেকে গৃহিনী শারমিন জানান, ছেলেকে মনিপুর স্কুলে নিয়ে যাওয়ার জন্য বসা থেকে বের হয়েছিলাম কিছুদূর যেতেই দেখলাম কোমর পানি, আর স্কুলে যেতে পারলাম না। বৃষ্টির ফলে খেটে খাওয়া মানুষ পড়েছে বিপাকে। কাজ কারবার না হওয়ায় বাজার থেকে শুরু করে বিপনি বিতান ছিল ফাঁকা। কাজ না থাকলে পারত পক্ষে অনেকেই ঘর থেকে বের হননি।
Copyright © 2023 Amaderkatha | Design & Developed By: Design Ghor