আমাদের কথা ডেস্ক :
রাজধানীর গেন্ডারিয়ার শাহিদুল আলম। গাবতলী পশুরহাট থেকে লাল গরু কিনে বাড়ি ফিরছেন। সাড়ে তিন মণ মাংস হবে এমন গরু ৮২ হাজার টাকায় কিনেছেন তিনি।
কোরবানির গরুর দাম প্রসঙ্গে শাহিদুল আলম বলেন, বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) হঠাৎ করে দাম বেড়েছে। মঙ্গল ও বুধবার গরুর দাম কম ছিল। এবার আগের মতো ভারতের গরু আসেনি তাই শেষ পর্যায়ে গাবতলীতে সংকট তৈরি হয়েছে।
মুখভার করে গরু নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন ধানমন্ডি সোবহানবাগের হাজী আওলাদ শেখ। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আজকে (বৃহস্পতিবার) গরুর দাম বাড়তি। হাটে বেশ সংকট। তিন মণ মাংস হবে না ৭৮ হাজার টাকায় গরু কিনেছি। মঙ্গলবার কিনলে অন্তত ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা কম পেতাম।
হাটের প্রবেশদ্বারে প্রায় ১০ থেকে ১২ জন ক্রেতার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সবার একই অভিযোগ- হঠাৎ গরুর দাম বাড়তি। হাটের বেপারীরাও স্বীকার করছেন ক্রেতাদের অভিযোগ। কুষ্টিয়া সদরের তরিকুল বেপারী বলেন, আইজকা (বৃহস্পতিবার) গরুর দাম বারসে ভাই। বেশ চড়া। গতকাইল (বুধবার) গরুর দাম কম আছিল। আইজ বাজারে গরু কম।
ভারতের গরু আসায় অন্যবার বেপারীরা কান্না নিয়ে বাড়ি ফিরলেও এবার হাসিমুখে হাট ছাড়ছেন। কুষ্টিয়া দৌলাতপুরের হান্নান বেপারী ৪৫টি গরু হাটে এনেছিলেন। প্রায় সবই লাভে বিক্রি করেছেন।
হান্নান বলেন, এদিন গরুর দাম চড়া। কিন্তু আগেভাগে আমরা সমস্ত গরু সীমিত লাভে বিক্রি করে দিয়েছি।
এবার ব্যবসা কেমন হলো এমন প্রশ্নের জবাবে হাসিমুখে হান্নান বেপারী আরও বলেন, গতবার ৫ লাখ বসান খাইছি (লোকসান) এবার আল্লাহ দিলে ভাত-কাপড়ের ট্যাকা হইচে।গাবতলী হাটে হঠাৎ করে গরুর সংকট তৈরি হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার পর থেকে ক্রেতা সমাগম আরও বাড়তে থাকে। তবে ক্রেতার তুলনায় গরুর সংখ্যা একেবারেই কম। এতে করে বর্তমানে গাবতলী হাটে জামাই আদরে বেপারীরা।
ক্রেতারা জানান, ভারতের গরু দেশে কম প্রবেশ করাতেই গরুর দাম বেড়েছে। এদিকে শেষ সময়ে ক্রেতারা পছন্দ মতো পশু পান কিনা এটাই এখন দেখার বিষয়।
Copyright © 2021 Amaderkatha | Design & Developed By: Design Ghor