
স্টাফ রিপোর্টার :
ক্রেতা সঙ্কটের মুখে পড়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবার সীমান্ত হাটের বাংলাদেশি বিক্রেতারা। তাদের অভিযোগ, সীমান্তে বিএসএফ’র কড়াকড়ির কারণে হাটে কমেছে সে দেশের ক্রেতাদের উপস্থিতি। এদিকে প্রবেশাধিকার সহজ হওয়ায় হাটে প্রতিনিয়ত ভিড় বাড়ছে বাংলাদেশি ক্রেতা। এ অবস্থায়, ভারতীয় বিক্রেতাদের ব্যবসা ভালো হলেও হতাশ বাংলাদেশি বিক্রেতারা। অবশ্য, এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাস দিয়েছে ত্রিপুরা জেলা প্রশাসন। বাংলাদেশ ও ভারতের ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটাতে চলতি বছরের ১১ জুন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার তারাপুর সীমান্তে চালু হয়ে ‘সীমান্ত হাট’। উদ্বোধনের পরই দু’দেশের ক্রেতা বিক্রেতাদের পদচালনায় মুখর হয়ে ওঠে হাটটি। শুরু থেকেই চলে জমজমাট বেচাকেনা। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে নতুন দোকানের সংখ্যাও। কিন্তু, তিনমাস পার হবার পরই সীমান্ত হাটের বাংলাদেশ অংশে কমে গেছে ভারতীয় ক্রেতাদের উপস্থিতি। আর, বেচাকেনা কমে যাওয়ায় বাংলাদেশি বিক্রেতারা। তাদের অভিযোগ, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিএসএফ’র কড়াকড়ির কারণেই হাটে আসতে অনীহা বাড়ছে দেশটির ক্রেতাদের।
এদিকে, দিনদিন বাংলাদেশি ক্রেতাদের সংখ্যা বাড়ায় বেচাকেনা নিয়ে খুশি ভারতীয় বিক্রেতারা। এ অবস্থায়, হাটের ভারসাম্য ফেরাতে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার দাবি বাংলাদেশি বিক্রেতাদের।
বাংলাদেশ হাট ব্যবস্থাপনা কমিটি বলছে, সমস্যা সমাধানে ভারতীয় প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। অবশ্য, এ ব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাস দিয়েছে ত্রিপুরার সিপাহীজলা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট।
কসবা সীমান্তের সভাপতি হাট ব্যবস্থাপনা কমিটি নাজমা বেগম (বাংলাদেশ) বলেন, ‘সমস্যা সমাধানে ভারতীয় প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।’ অবশ্য, ত্রিপুরার সিপাহীজলা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট প্রদীপ কুমার চক্রবর্তী এ ব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। হাট ব্যবস্থাপনা কমিটির হিসেব মতে, সীমান্ত হাটে গত তিনমাসে ১৫ লাখ ৮২ হাজার চারশো টাকার পণ্য বিক্রি করেছে বাংলাদেশি বিক্রেতারা।