বাংলাদেশ সময়ঃ দুপুর ০২:০০, ২৯ এপ্রিল, ২০১৭
সরাইল প্রতিনিধি ঃ ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সরাইলে ডাকাতের কবলে পড়েছে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে আসামি নিয়ে আসার পথে মহাসড়কের পশ্চিম কুট্টাপাড়া নামক স্থানে ডাকাতের ব্যারিকেডে ধাক্কা খায় গ্রেপ্তারকৃত আসামি বহনকারী সরাইল থানা পুলিশের সিএনজি চালিত ২টি অটোরিকশা। এতে অটোরিকশা দুটি ছিটকে পাশের খাদে পড়ে যায়। আহত হয় ৩ এস আই, আসামি ও চালকসহ ৮ জন। হাইওয়ে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। তবে ডাকাতরা পালিয়ে যায়। হাইওয়ে পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বিভিন্ন মামলার পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তার করতে উপজেলার পানিশ্বর ইউনিয়নের ভিটঘর গ্রামে অভিযানে যায় সরাইল থানা পুলিশের একটি দল। বেশ কয়েকজন আসামিকে গ্রেপ্তার শেষে সিএনজি চালিত অটোরিকশায় করে তারা আসামিসহ রওনা দেয়। এ সময় মহাসড়কের পশ্চিম কুট্টাপাড়ায় যাত্রীবাহী পরিবহনে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে সংঘবদ্ধ হয় একদল ডাকাত। ডাকাতরা মহাসড়কে বাঁশ বেঁধে ব্যারিকেড দেয়। পুলিশ বহনকারী অটোরিকশা দুটি দ্রুতগতিতে এসে ডাকাতদের ব্যারিকেডে ধাক্কা দেয়। এতে অটোরিকশা দুটি মহাসড়কের পাশে পড়ে যায়। ১টি অটোরিকশা দুমড়ে মুচড়ে যায়। এরপর ডাকাতরা ডাকাতি করার জন্য দৌড়ে এসে পুলিশের পোশাক দেখে দ্রুত পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় আহত হয় সরাইল থানার এস আই আলী আশরাফ, এস আই মো. রাকিব হাসান, এস আই মো. মহিউদ্দিন ভূঁইয়া, বিশেষ আনসার নূর ইসলাম, অটোরিকশা চালক নাঈম হোসেন (১৮), গ্রেপ্তারকৃত আসামি ভিটঘর গ্রামের আবদুল জব্বারের ছেলে মো. রিয়াজ (৫০), অবনি মোহন দেবনাথের ছেলে অধির দেবনাথ (৫৬) ও সদর উপজেলার খাটিহাতা গ্রামের মোহন মিয়ার ছেলে মোখলেছ (১৮)। হাইওয়ে থানা পুলিশ তাদের উদ্ধার করে সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করেন। আহত সকলেই সরাইল হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণ করেছেন। ডাকাতের কবলে পড়া এস আই মহিউদ্দিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এর চেয়ে বড় কিছুও ঘটতে পারতো। আমাদের অটোরিকশা দুটি আগে পিছে থাকায় ডাকাতদের ধরা সম্ভব হয়নি। সরাইলের বিশ্বরোড হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মো. হুমায়ুন কবির আমাদের কথা’কে নিশ্চিত করে বলেন, ডাকাতরা ব্যারিকেড দিয়ে মহাসড়কে ডাকাতির চেষ্টা করছিল। ওই ব্যারিকেডে ধাক্কা লেগেই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। তবে ডাকাতি হয়নি।