দেশের যে কোনো সেনানিবাস এলাকায় রাস্তাঘাটে মলমূত্র ত্যাগ, মাতলামি, ভিক্ষাবৃত্তি বা জুয়ার মত খেলার শাস্তি হিসেবে ২০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রেখে নতুন আইন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
সোমবার সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
মো. শফিউল আলম সাংবাদিকদের বলেন, ১৯২৪ সালের আইন দ্বারা সেনানিবাস ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড পরিচালিত হয়ে আসছে। দীর্ঘ ৯০ বছর পর আইনটি হালনাগাদ করা হচ্ছে। আইনের ৪৩টি ধারা সংশোধন করে সাজার মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
এ ছাড়া কেউ যদি খোলা মাংস বহন করে, তবে শাস্তি হিসেবে তাঁর ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের কথা বলা হয়েছে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
শফিউল আলম আরো জানান, আগের আইন অনুযায়ী সেনানিবাস এলাকায় কেউ আতশবাজি করলে ৫০ টাকা জরিমানা করা হতো। বর্তমানে তা তিন হাজার টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও জানান, আগের আইনের ২৯২টি ধারা থেকে কিছু বাদ দিয়ে এবং নতুন কিছু সংযোজন করে খসড়ায় মোট ২১৮টি ধারা রাখা হয়েছে। বিভিন্ন অপরাধের জন্য জরিমানার পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে ২০ হাজার গুণ পর্যন্ত।
তিনি বলেন, ‘৯০ বছর আগে যেসব জরিমানা নির্ধারণ করা ছিল সেগুলোর পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। ৪৩টি বিষয়ে আর্থিক জরিমানার বিধান বাড়ানো হয়েছে।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও জানান, ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড এলাকা এক ধরনের পৌর ব্যবস্থাপনার মত। অর্থাৎ পৌরসভা যেভাবে তাদের এলাকা ম্যানেজ করে, এটাও সেভাবে ম্যানেজ করবে। বোর্ডের কার্যক্রম কেমন হবে তা এই আইনে বলা আছে।