যুক্তরাষ্ট্রের আক্রমণ হয়েছে ইরাকে। বোমার পর বোমায় বিধ্বস্ত হয়েছে দেশটির জনপদ। তারপরও মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে ছিল আল-নূরি মসজিদ। অবশেষে প্রায় ৮০০ বছর ধরে মসুলে মিনার উঁচু করে থাকা সেই মাথা গুড়িয়ে দেওয়া হলো। ইরাকি সেনাবাহিনীর দাবি, জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস) বোমা হামলা চালিয়ে বুধবার বিখ্যাত আল-নূরি মসজিদ গুড়িয়ে দিয়েছে।
তবে নিজেদের মুখপাত্র ‘আমাক’- এ এক বিবৃতির মাধ্যমে আইএস এ দাবি নাকচ করেছে। তারা পাল্টা অভিযোগ করেছে, যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনী ঐতিহ্যবাহী মসজিদটি ধ্বংস করেছে। খবর বিবিসির।
ইরাকি বাহিনীর দাবি, হামলার সময় তারা মসজিদটির প্রায় ৫০ গজ দূরে ছিল। বিমান থেকে ধারণ করা ছবিতেও দেখা গেছে, মসজিদ ভবনটি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এ বিষয়ে পরে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন যৌথ বাহিনী একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। যৌথ বাহিনীর মুখপাত্র কর্নেল রায়ান ডিলন বলেন, ‘আমরা নিশ্চিত করছি, আল- নূরি মসজিদ ধ্বংস হয়ে গেছে। এটি যৌথ বাহিনীর হামলার ফলে হয়নি। কারণ বুধবার সন্ধ্যায় আমরা ওই এলাকাতে কোনো হামলা করিনি।’
ইরাকের প্রধানমন্ত্রী হায়দার আল-আবাদিও আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছেন, আইএসের হামলায় আল-নূরি মসজিদ ধ্বংস হয়ে গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর জ্যেষ্ঠ কমান্ডার মেজর জেনারেল জোসেফ মার্টিন এটিকে মসুলবাসীর জন্য হৃদয়বিদারক বলে আখ্যায়িত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আইএসের এই অপরাধ মসুল এবং সব ইরাকিদের বিরুদ্ধে। এটাই প্রমাণ করে তারা কতটা বর্বর সংগঠন।’
আল-নূরি মসজিদ আরেক কারণেও আলোচনায় আসে। ২০১৪ সালে সিরিয়া ও ইরাকের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের দখল নেওয়ার পর এই মসজিদ থেকেই নিজেকে খলিফা দাবি করে আবু বকর আল বাগদাদি খেলাফত ঘোষণা করেন।