গোপালগঞ্জে একটি কালিবাড়ির কালি মূর্তি ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার রাতে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার বোড়াশী ইউনিয়নের দক্ষিণ ঘোষগাতী গ্রামের কালিবাড়িতে এ ঘটনা ঘটেছে। দুর্বৃত্তরা মন্দিরে প্রবেশ করে কালি মূর্তির মাথা, শিব মূর্তির মাথা ও হাত ভাংচুর করে। রোববার ভোর ৫ টার দিকে পূজারী সবিতা বালা মন্দিরে প্রণাম করতে এসে মন্দিরের মূর্তি ভাঙ্গা দেখে সবাইকে খবর দেন।
গোপালগঞ্জ সদর থানা পুলিশ খবর পেয়েই ওই মন্দির পরিদর্শন করে তদন্তে নেমেছে। তারা মন্দির কমিটির সদস্য ও স্থানীয়দের এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।
মন্দির কমিটির সভাপতি রঞ্জন কুমার বিশ্বাস জানান, আমাদের শতবর্ষের ঐতিহ্যবাহী এ কালিবাড়ি। এখানে প্রতিদিন সকাল সন্ধ্যা পূজা দেয়া হয়। শনিবার রাতের প্রার্থনা শেষে পূজারীরা মন্দিরের দরজা সিটকিনী দিয়ে বন্ধ করে চলে যান। রাতে অন্ধকারে কে বা কারা মন্দিরে ঢুকে কালি ও শিব মূর্তির মাথা ভাংচুর করেছে। সকালে আমরা ঘুম থেকে উঠে মন্দিরের মূর্তি ভাংচুর অবস্থায় দেখতে পাই। মূর্তি ভাংচুর দেখে গ্রামের সবাই মর্মাহত হয়েছে। আমাদের মন ভেঙ্গে পড়েছে। মন্দিরের মূর্তি ভাংচুর করার মতো কোন অপ্রীতিকর ঘটনা এখানে ঘটেনি। এ কারণে কাউকে সন্দেহ করা যাচ্ছেনা। আমরা এ ঘটনার রহস্য উদঘাটনের জন্য পুলিশের কাছে দাবি জানাচ্ছি। সেই সাথে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আহবান জানাচ্ছি। আমরা এ ব্যাপরে মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দায়ের কবর।
বোড়াশী ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড মেম্বর জনে আলম মোল্লা বলেন, এখানে হিন্দু ও মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষ শান্তিপূর্ন সহ অবস্থান করে আসছে। জাগ্রত এ কালিবাড়িতে দুধ-কলা মানত করে হিন্দু-মুসলিম নির্বিশেষে সবাই বিপদ আপদ থেকে মুক্ত থাকে বলে বিশ্বাস করে। এখানে মূর্তি ভাংচুরের ঘটনা আনাকাংখিত। তিনি এ ঘটনায় জড়িতদের খুজে বের করে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানান।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মোঃ সেলিম রেজা বলেন, খবর পেয়ে ওসি (তদন্ত) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। আমরা ঘটনার তদন্ত ইতিমধ্যে শুরু করে দিয়েছি। এ ব্যাপারে অভিযোগ পাওয়ার পাওয়ার পর মামলা নেয়া হবে। দোষীদের খুঁজে বের করে বিচারের মুখোমুখি করা হবে।