আমরা সময়ের কথা সময়ে বলি।

Advertisement

এমন মন্ত্রী দিয়ে আমাদের কতটা উপকার হবে: ফারুক

বিনোদন 24 June 2017

যৌথ প্রযোজনার ছবিতে প্রতারণার প্রমাণ থাকার পরও মন্ত্রীর আদেশ-নির্দেশে যৌথ প্রযোজনার ছবি মুক্তি পাচ্ছে। এতে রাষ্ট্রের আইন লঙ্ঘন করা হয়েছে। যেখানে দেশের সংবিধান, রাষ্ট্রের আইন রক্ষা করবেন দেশের মন্ত্রীরা, সেখানে তাঁরা নিজেরাই আইনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। ভিন দেশের একটি ছবি যৌথ প্রযোজনার নাম দিয়ে এ দেশে ছাড়পত্র দেওয়া হচ্ছে। আমি জানি না কীভাবে কী হচ্ছে।’ যৌথ প্রযোজনার ছবি নিয়ে এভাবেই ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান মিয়াভাই খ্যাত নায়ক ফারুক।

ঈদে মুক্তি পাচ্ছে যৌথ প্রযোজনার দুটি চলচ্চিত্র ‘নবাব’ ও ‘বস-২’। দীর্ঘদিন ধরেই এই ছবি দুটির বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে চলচ্চিত্রের ১৪টি সংগঠন। তাদের দাবি, এই ছবিতে যৌথ প্রযোজনার নিয়মনীতি মানা হয়নি। যৌথ প্রযোজনা বিষয়ক প্রিভিউ কমিটিও ‘বস-২’ ছবির ক্ষেত্রে আপত্তি জানিয়ে চিঠি দিয়েছিল তথ্য মন্ত্রণালয়ে। কিন্তু মন্ত্রণালয় থেকে পুনর্বিবেচনা করতে বলার পর অনাপত্তিপত্র দেয় কমিটি। পরে ছবিটিকে ছাড়পত্র দেয় সেন্সর বোর্ড। এই প্রতিবাদ জানাতেই গত মঙ্গলবার সেন্সর বোর্ড ঘেরাও করে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিবার।

বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে এই পরিস্থিতি নিয়ে ফারুক বৃহস্পতিবার সঙ্গে কথা বলেন। ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘যৌথ প্রযোজনার প্রিভিউ কমিটি ‘বস-২’ ছবিতে অনিয়ম পেয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ে লিখিতভাবে অভিযোগ করেছে, যেখানে এফডিসির এমডির স্বাক্ষর রয়েছে। তারপরও ছবিটি কীভাবে মুক্তি পায়? অনিয়ম তো সরকারের কর্মকর্তারাই করছেন।’

চলচ্চিত্র-সংশ্লিষ্টদের লিখিত অভিযোগও আমলে নেওয়া অভিযোগ করে ফারুক বলেন, ‘আমরা এই বিষয়ে তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে কথা বলেছিলাম। তিনি আমাদের কাছে লিখিত চেয়েছিলেন, কী কী অনিয়ম আছে ছবিতে সেটা লিখতে বলেছিলেন। তার পরের দিন আমরা লিখিতভাবে অভিযোগ করেছি মন্ত্রীর কাছে। অথচ তা আমলে না নিয়ে পরের দিনই কেমন করে ছবি সেন্সর বোর্ডে দেখানো হয়? ছাড়পত্রও পায়? এখানে তো বিষয়টা একেবারেই স্পষ্ট।’

বর্ষীয়ান অভিনেতা ফারুক যোগ করেন, ‘এমনভাবে নিজেদের ক্ষমতা যদি দেশের বিরুদ্ধে ব্যবহার করেন কেউ, তা হলে এমন মন্ত্রী দিয়ে আমাদের কতটা উপকার হবে, তা নিয়ে আমি সন্দিহান।’

চলচ্চিত্রে অনিয়ম বন্ধের আন্দোলন প্রয়োজন হলে আজীবন চালিয়ে যাবেন বলে জানান ফারুক। -সূত্র: এনটিভি অনলাইন