সম্প্রতি ঢাকায় এসেছিলেন বিএনপি নেতা মওদুদ আহমদ এর গুলশানের বাড়ির আসল মালিক অস্ট্রিয়ান নাগরিক করিম ফ্রাঞ্জ সোলাইমান। রাজউকের কাছে ঐ বাড়িতে তার অধিকার দিতে ইতোমধ্যে আবেদন করেছেন তিনি।
আজ ২৩ জুন শুক্রবার ভোরে বাংলাদেশ থেকে ফিরে গেছেন করিম সোলাইমান।
এদিকে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে করিম ফ্রাঞ্জ দাবি করেছেন, ইঞ্জে ফ্লাটজ এবং তার স্বামী পাকিস্তানি নাগরিক মুহাম্মদ এহসানের একমাত্র সন্তান তিনি।
তিনি জানিয়েছেন তার মা ৪৩ বছর বয়সে ক্যান্সারে মারা গেছেন এবং গুলশানের এই বাড়িটি তার মা ২২ বছর বয়সে নির্মান করেন।
এখানে উল্লেক্ষ্য করিম সোলাইমানের মা ১৯৬৫ সালে গুলশানের এই ১ বিঘা ১৩ কাঠার আবাসিক প্লটটি বর্তমানে রাজউক, তৎকালীন ডিআইটির কাছ থেকে বরাদ্দ পেয়েছিলেন। এরপর ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের পর করিম সোলাইমানের বাবা মা বাংলাদেশ ছেড়ে চলে গেলে ১৯৭২ সালে উক্ত বাড়িটি পরিত্যক্ত ঘোষিত হয় তবে ইঞ্জে ফ্লাটজ অস্ট্রিয়া থেকেই এই বাড়ির মালিকানা রক্ষা করতে সচেষ্ঠ ছিলেন। সেই প্রচেষ্ঠাগুলোর সাথে শেষ দিকে যুক্ত ছিলেন বিএনপি নেতা ব্যারিষ্টার মওদুদ আহমদ এবং ১৯৮০ সালের জুন মাসে অবশেষে রাজউক ইঞ্জে ফ্লাটজকে বাড়িটি ফিরিয়ে দেয়।
তখনই মওদুদ আহমদ এই বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে ঢুকেন এবং বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে গত ৭ জুন তারিখে উৎখাত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত তিনি ওই বাড়িতেই অবস্থান করেছেন।
প্রসঙ্গত, গুলশান-২ নম্বর সেকশনের ১৫৯ নম্বর প্লটের ওই বাড়িতে মওদুদ আহমেদ বসবাস করে আসছিলেন ১৯৭২ সাল থেকে। কিন্তু ‘ভুয়া’ আমমোক্তারনামা তৈরি করে মওদুদের ভাইয়ের নামে ওই বাড়ির দখল নেওয়া হয়েছে অভিযোগ করে দুদক মামলা করলে চার বছর আগে আইনি লড়াই শুরু হয়। ওই মামলায় মওদুদ সর্বোচ্চ আদালত পর্যন্ত গেলেও রায় তার বিপক্ষে যায়। বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য আপিলের রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করলেও গত রোববার তা খারিজ হয়ে গেছে মওদুদের বাড়ি ছাড়া অনিবার্য হয়ে পড়ে। এরপর বুধবার রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ওই বাড়ির দখল বুঝে নেয়।