
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার বাঁশগাড়িতে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত ১গুলিবিদ্ধ ছয়জন।আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছে এসএসসি পরীক্ষার্থী তোফায়েল রানা। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন আরো ছয়জন।
আজ শুক্রবার ভোরে রায়পুরা উপজেলার বাঁশগাড়িতে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বাঁশগাড়ি ইউনিয়নের বালুর মাঠ এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এই সংঘর্ষ বাধে। আহতদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তিনজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নিহত তোফায়েল রানা (১৬) বাঁশগাড়ি গ্রামের আবদুল্লাহ ফকিরের ছেলে এবং সে স্থানীয় বাঁশগাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল।
রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহসিন উল কাদির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। আধিপত্য বিস্তারের জের ধরে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
নিহতের স্বজন ও পুলিশ জানায়, দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বাঁশগাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি প্রয়াত হাফিজুর রহমান সাহেদ সরকারের সমর্থক ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য ও সাবেক চেয়ারম্যান প্রয়াত সিরাজুল হকের সমর্থকদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। সাহেদ সরকারের সমর্থকরা অনেক দিন ধরে গ্রামছাড়া অবস্থায় দিন পার করছেন। এর আগে এ বিরোধের জের ধরে দুপক্ষের হামলা-পাল্টাহামলায় চেয়ারম্যান সিরাজুল হকসহ একাধিক নেতাকর্মী নিহতের ঘটনা ঘটেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে আজ শুক্রবার ভোরে বাঁশগাড়ি গ্রামে প্রয়াত সাহেদ সরকারের সমর্থকরা গ্রামে তাঁদের বাড়িঘরে ঢোকার চেষ্টা করেন। পূর্বশত্রুতার জের ধরে প্রয়াত সিরাজুল হক চেয়ারম্যানের ছেলে বর্তমান চেয়ারম্যান আশরাফুল হক ও বাবুল মেম্বারের নেতৃত্বে তাঁদের লোকজন বালুর মাঠ এলাকায় প্রয়াত হাফিজুর রহমান সাহেদ সরকার পক্ষের জামাল, জাকির ও সুমনের লোকজনের ওপর হামলা চালায়। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই গুলিবিদ্ধ হয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থী তোফায়েল রানা নিহত হয়।