নিজস্ব প্রতিবেদক//
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেনাবাহিনী শুধু জেলা সদরে বসে থাকবে না। কোনো সহিংস ঘটনা ঘটলে সেখানে নিজ উদ্যোগে গিয়ে তা প্রতিহত করবে।’
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন বীর বিক্রম। রোববার দুপুরে সিইসির সঙ্গে দেখা করার পর এ কথা বলেন তিনি।
হাফিজ উদ্দিন বলেন, আমি সিইসিকে বলেছি, নির্বাচনে সেনাবাহিনী জেলা সদরে চুপ করে বসে থাকবে, নাকি তারা ফ্রিলি মুভ করবে। একটি এলাকায় ভোটকেন্দ্রের এক মাইল দূরে ভোটারদের কেন্দ্রে আসতে বাধা দেয়া হলে তখন তাদের ভূমিকা কী হবে? জবাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা আশ্বস্ত করে বলেছেন, সেনাবাহিনী নির্বাচনী এলাকায় মুভ করবে। তারা জেলা সদরে চুপ করে বসে থাকবে না। যেখানেই সন্ত্রাস হবে, দে উইল রান ফর দ্যাট।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিএনপির এই নেতা বলেন, বিএনপির মহাসচিবের নির্দেশে আমি সিইসির সঙ্গে সাক্ষাত করেছি। সারাদেশে বিএনপির নেতাকর্মীদের মামলা দিয়ে গ্রেফতার করা হচ্ছে। তারা এলাকা ছাড়া। আমি নিজে ছয়বার নির্বাচনে জয়ী হয়েছি। এখন এলাকায় যেতে পারছি না। আমার মতো অনেক নেতা এলাকার বাইরে আছেন। আমার নির্বাচনী এলাকা ভোলা-৩। তফসিল ঘোষণার পর এই আসনে হয়রানিমূলক যেসব মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে, তা সিইসিকে জানিয়েছি।
‘তিনি (সিইসি) বলেছেন, পুলিশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবেন। এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট জেলার পুলিশ প্রশাসনকেও তিনি এ বিষয়ে নির্দেশ দেবেন। সিইসি আমাকে আশ্বস্ত করেছেন, নির্বাচনে কোনো ধরনের সহিংসতা বরদাশত করবেন না।’
ইভিএম প্রসঙ্গে হাফিজ উদ্দিন বলেন, সারাবিশ্বে ইভিএম একটি বিতির্কিত ভোটিং মেশিন। জার্মানি এটা বাদ দিয়েছে। পার্শ্ববর্তী ভারতের কয়েকটি রাজ্যে কেবল এই মেশিন চালু আছে। উন্নত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে এই ভোটযন্ত্র ব্যবহার হচ্ছে না। ইউরোপীয় ইউনিয়নের অধিকাংশ দেশেই এটা নেই। আশা করছি, আগামী নির্বাচনে এই মেশিন ব্যবহার না করার বিষয়ে আমাদের দাবি পুনর্বিবেচনা করবে নির্বাচন কমিশন।
উল্লেখ্য, ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ৩০ ডিসেম্বর ভোট হবে। এর আগে ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা, ২ ডিসেম্বর বাছাই ও ৯ ডিসেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় রয়েছে।
