
গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে যৌতুকের দায়ে স্বামী কর্তৃক গৃহবধু এক সন্তানের জননী রোকসানা বেগম (২০)-কে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন, অতঃপর হাসপাতালে ভর্তি। জানা যায়, সাদুল্যাপুর উপজেলার ইদিলপুর ইউনিয়নের কুঞ্জমহিপুর গ্রামের রোফায়েত উল্যার কন্যা রোকসানা বেগমের সহিত একই গ্রামের ইসমাইল গাছুর ছেলে খাদেমুল ইসলাম (২৫) ২ বছর পূর্বে পারিবারিকভাবে বিবাহ সম্পন্ন হয়। উক্ত খাদেমুল ইসলাম পলাশবাড়ী উপজেলার ঠুটিয়াপাকুর বাজারে চায়ের দোকান থাকায় ভাড়া বাসায় স্বামী-স্ত্রী বসবাস করে। স্থানীয়ভাবে জানা যায়, উক্ত খাদেমুল ইসলাম বিভিন্ন খেলায় বাজী জুয়ার সাথে জড়িত। বিবাহের পর থেকেই স্বামী বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে তার স্ত্রী রোকসানার নিকট পিতার বাড়ী থেকে যৌতুক বাবদ টাকা আনার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। স্ত্রী রোকসানা পিতার বাড়ী থেকে টাকা এনে দিতে অস্বীকৃতি জানায়। এ কারণে তার উপর নেমে আসে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। এরই জের ধরে ১লা মার্চ (শুক্রবার) দুপুরে পলাশবাড়ী উপজেলার ঠুটিয়াপাকুর ভাড়া বাসায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে যৌতুকের টাকা নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এ পর্যায়ে স্বামী খাদেমুল স্ত্রী রোকসানাকে বেদম মারপিট করতে করতে তার বুকের উপর চরে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথা মেঝের সঙ্গে আছড়াতে থাকে। এ সময় তার চিৎকারে আশে-পাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে। পরে তার পিতা রফায়েত উল্যা মেয়ের রোকসানার অবস্থা গুরুতর হলে শুক্রবার রাতে পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। বর্তমানে সে পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মহিলা ওয়ার্ডের ৮নং বেডে চিকিৎসাধীন রয়েছে।