আমরা সময়ের কথা সময়ে বলি।

Advertisement

প্রেমের প্রস্তাবে সাড়া না পেয়ে হিন্দু বাড়ির দরজার গরুর হাড়-মাংস, নাড়িভুড়ি

সারাদেশ 25 March 2019 ৭৭২

মৌলভীবাজার।।

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার মুন্সীবাজার ইউনিয়নের বাসুদেবপুর গ্রামে এমন ঘটনা ঘটে।
করিমপুর গ্রামের চেরাগ মিয়ার ছেলে সাদত মিয়া (১৯) দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের প্রস্তাবসহ উত্ত্যক্ত করে আসছে। মেয়েটি এ ঘটনা তার কাকিকে বলার পর সামাজিকভাবে ছেলের অভিভাবকদের জানানো হয়। এরপর ক্ষুব্ধ হয়ে সাদত ও সহযোগী সজিব মিয়া বিয়ে বাড়ির একটি অনুষ্ঠান থেকে জবাই হওয়া গরুর পরিত্যক্ত মাংস, পা, হাড়, মাথা, দাঁত, চামড়া ও নাড়িভুড়ি সংগ্রহ করে শুক্রবার ভোররাতে বাসুদেবপুর গ্রামের পরমেশ্বর মালাকার (৫০), প্রণয় মালাকার (৪৫) ও বীরেন্দ্র মালাকার (৫২) এর ঘরের দরজায় ঝুলিয়ে রাখে। সকালে ঘুম থেকে উঠার পর প্রথমে অধীর মালাকার বিষয়টি দেখতে পেয়ে বাড়ির লোকজনসহ আশপাশ এলাকার লোকদের অবহিত করেন।
বাসুদেবপুর গ্রামের পরমেশ্বর মালাকার বলেন, তাঁর মাতৃহারা দশম শ্রেণি পড়ুয়া ভাতিজিকে পার্শ্ববর্তী করিমপুর গ্রামের চেরাগ মিয়ার ছেলে সাদত মিয়া (১৯) দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের প্রস্তাবসহ উত্ত্যক্ত করে আসছে। মেয়েটি এ ঘটনা তার কাকিকে বলার পর সামাজিকভাবে ছেলের অভিভাবকদের জানানো হয়। এরপর ক্ষুব্ধ হয়ে সাদত অন্য একটি ছেলেকে নিয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে তারা মনে করছেন। তিনি আরও বলেন, সকালে ঘটনাটি জানাজানি হলে এবং গ্রামবাসী ঘটনার কারণ খোঁজে বের করার কথা বলার পর সাদতের বড় ভাই হায়দর মিয়া তাদের বাড়িতে এসে তার ভাই এঘটনার সাথে জড়িত বলে জানায় এবং ক্ষমা চায়।গ্রামের অধীর মালাকার, প্রহ্লাদ মালাকার ও জগদীশ মালাকার বলেন, করিমপুর গ্রামের সফিক মিয়ার বাড়িতে বিয়ে অনুষ্ঠানে জবাই হওয়া গরুর পরিত্যক্ত মাংস এনে রেখেছে। এটি আমাদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছে।

স্থানীয়রা এঘটনার তীব্র নিন্দা ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।হরিণ যেমন নিজের মাংসের জন্য নিজেই নিজের শত্রু হয়৤ তেমনি নারীর সৌন্দর্যও তখন তার কাছে অভিশাপ৤ হয়ে উঠে!