নওগাঁর ধামইরহাটে আদিবাসীদের বাড়িঘর আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে সন্ত্রাসীরা

২৬ মার্চ, ২০১৯ : ৭:৫৪ পূর্বাহ্ণ ২১৫

নওগাঁ।।
নওগাঁর ধামইরহাটে অসহায় আদিবাসীদের ৩০ থেকে ৩৫টি বাড়িঘর আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে সন্ত্রাসীরা। রবিবার দিনগত মধ্যরাতে স্থানীয় সন্ত্রাসীরা পেট্রোল ছিটিয়ে আগুন দিয়ে সবকিছু জ্বালিয়ে দিয়েছে। বর্তমানে অসহায় আদিবাসী পরিবারের লোকজন খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছে। স্থানীয়রা জানায়, সন্ত্রাসীরা নিজেদের ক্ষমতাসীন দলের সদস্য এবং স্থানীয় এমপি শহীদুজ্জামান সরকারের খাস লোক বলে দাবী করে। ঘটনার পর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।জানা গেছে, ধামইরহাট উপজেলার আলমপুর ইউনিয়নের অন্তর্গত বস্তাবর কাগজকুটা গ্রামের পুকুর পাড়ে খাস জমিতে অন্তত ৩৫টি ঘর নির্মাণ করে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছে ওই এলাকার আদিবাসী সম্প্রদায়ের লোকজন। আদিবাসীদের সঙ্গে কিছু ভূমিহীন মুসলিম পরিবারও রয়েছে। তারা টিনের ছাউনি এবং বাঁশের বেড়া দিয়ে ঘর নির্মাণ করে বসবাস করে আসছিল। রবিবার দিনগত রাত ১টায় দিকে ২০ থেকে ২৫ জনের একদল সন্ত্রাসী ওই পুকুর পাড়ের বাড়িঘরগুলোতে হামলা চালায়। তাদের হামলায় বাড়িঘর হারানো লগেন পাহান ও আফিজ উদ্দিন বলেন, রাতে মুখোশধারী লোকজন তাদের বাড়িঘরে পেট্রোল ছিটিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়।

এতে তাদের ধান, চাউল, কাপড় চোপড়, হাঁস-মুরগী, ছাগল, নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন পুড়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত মৃত মোজাফ্ফর রহমানের বিধবা স্ত্রী মনোয়ারা বেগম এবং মৃত ঘুটু পাহানের স্ত্রী শান্তি পাহান বলেন,সন্ত্রাসীদের হাতে ধারালো বড় হাসুয়া, কুড়াল,তীর ধনুক, লাঠি ও হাতে পেট্রোলের বোতল ছিল। সন্ত্রসীরা এলোপাথাড়িভাবে তাদেরকে কোপাতে থাকে। এতে শান্তি পাহানের হাত ভেঙ্গে যায় এবং তার ৫ বছরের ছেলে আকাশ মারাত্মক আহত হয়।

পরবর্তীতে গ্রামের পার্শে বস্তাবর বিজিবি ক্যাম্পের টহলদল আগুনের লেলিহান শিখা দেখতে পেয়ে ঘটনাস্থলে যায়। বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।

এই ন্যক্কারজনক ঘটনার জন্য তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। যারা এমন সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে তারা বাংলাদেশের শত্রু। হামলার সঙ্গে জড়িত প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সবার বিচারের দাবি জানাই।চিহ্নিত এইসব সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি করছি।

[gs-fb-comments]
Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com