
নবীনগর।।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার নবীনগর পশ্চিম ইউনিয়নের ফতেহ্পুর গ্রামে ফতেহপুর উত্তর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আবারো পুরাতন জরার্জিন ভবন ছাঁদের কণক্রিট প্লাষ্টার ধসে গেছে। এতে কয়েকজন ছাত্র/ছাত্রী ও শিক্ষক আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার(০৯/০৪)বিদ্যালয়ের ওই পুরাতন জরার্জিন ভবনে ১ম ও ২য় শ্রেনীর কাসরুমে পাঠদান চলাকালিন অবস্থায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। ওইদিনই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে অবগত করিয়েছেন।
সুত্র জানায়,১৯৩৭ সালে ওই ইউনিয়নে এই প্রাথমিক বিদ্যালয়টি স্থাপিত্ হয়। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে এটি সরকারিকরণ করা হয়। সম্ভবত ১৯৯৫ সালে স্কুলের ভবনটি নির্মান করা হয়েছে। বিদ্যালয়ের উত্তর ও দক্ষিন পাশে দুই বিলডিং সংস্কারের অভাবে বর্তমানে জরার্জিন অবস্থায় ভবনের প্রতিটিরুমে কণক্রিট প্লাষ্টার ধসে রড বেড়িয়ে গেছে। ২০০৮ সালে এলজিইডি থেকে পশ্চিমাংশে দুইটি কাসরুম বিশিষ্ট একটি বিলডিং নির্মান করা হয়। সেটিতে চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেনীর কাস করা হয়। বাধ্য হয়ে জরাজির্ন ভবনে ১ম, ২য় ও ৩য় শ্রেনীর কমলমতি শিশুদের কাস নিতে হয়। জীবনের ঝুকি নিয়ে কমলমতি শিশুরা লেখা পড়া করছে। প্রায় প্রতিদিনই এসব কনক্রিট প্লাষ্টার ধসে পরার ঘটনা ঘটছে। দুর্ঘটনা কবলিত কাসরুমের ফজলুল হক, মিতা, জাহিদুন, লিমন কমলমতি এসব শিক্ষার্থীরা বলেন,আমরা প্রতিনিয়তই এসব দুর্ঘটনার শিকার হই,আমরা ভয়ে ভয়ে থাকি,কণক্রিট ধসে আমাদের শরীরে পরে। স্কুলের সিনিয়র সহকারি শিক্ষক ফরিদা বেগম বলেন, এই স্কুলে ২৬বছর ধরে জীবনের ঝুকিতে এই জরার্জিন ভবনে শিশুদের নিয়ে কাস করে আসছি,অনেক অনেকবার এ দুর্ঘটনা ঘটেছে এতে অনেক ছাত্র/শিক্ষক আহতও হয়েছে। সিনিয়র শিক্ষক মনিরানি শীল বলেন, আমি ১৫ বছর ধরে এ স্কুলে শিক্ষকতায় এই ভয়ংকর পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে কমলমতী শিশুদের পাঠদান চালিয়ে যাচ্ছি,ভয়ে ভয়ে থাকতে হয় কখন পুরো বিলডিংটি সম্পূর্ণ ধসে পড়ে। নবযোগদানকৃত স্কুলের প্রাধান শিক্ষক রাশিদা আক্তার বলেন, আমি গত বছর ্এপ্রিল মাসে এ স্কুলে যোগদান করেছি,ওই মাসের ২৮ তারিখেই ১ম দুর্ঘটনাটি ঘটে। ওই দিন ওই রুমে পরীক্ষা চলাবস্থায় দুপুরে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। এই নিয়ে ২য় বার ঘটনা ঘটল। আমি আমার উধ্বতন কর্তৃপক্ষকে এ দুর্ঘটনার বিষয়টি অবগত করিয়েছি। কিন্তু প্রায় ১বছর হতে চললো আদো স্কুলটি সংস্কারের কোন উদ্যোগ নেয়নি কর্তপক্ষ। যে কোন মুহুত্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশু সম্ভাবনা রয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শরিফ রফিকুল ইসলাম বলেন. আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে ঝুকিপূর্ন প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনের তালিকা ওই সময়ই পাঠিছয়েছিলাম,এখন আবারও পাঠাবো। প্রাথমিক অবস্থায় শিশুদের নিরাপক্তায় কি করা যায় আমারা ভেবে দেখছি ।