আমরা সময়ের কথা সময়ে বলি।

Advertisement

অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি জাঙ্গিপাড়ায়

আন্তর্জাতিক 15 April 2019 ৪২৪

আন্তর্জাতিক ডেস্ক।।

বিজেপির দলীয় পতাকা লাগানোর অপরাধে হামলা চালানো হলো হুগলী জেলার শ্রীরামপুর লোকসভা তথা জাঙ্গিপাড়া বিধানসভা ও থানার অন্তর্গত চাঁচোয়া গ্রাম (ZP – ২৪, বুথ নম্বর – ২০৩)-এর বিজেপি কর্মী প্রশান্ত মজুমদারের (৫০) উপরে। এমনকি ছাড় পায়নি তার ১৩ বছর বয়সী ভাইপো নবম শ্রেণীর ছাত্র সুজয় মজুমদারও। বাচ্চাটির অপরাধ সে তার জ্যেঠুকে বাঁচাতে গিয়েছিলো। অভিযোগের তীর তৃণমূল আশ্রিত স্থানীয় দুষ্কৃতী শামসের মল্লিক ও তার চার ভাই এবং উজির ও সেলিম (খোকন) -এর দিকে। প্রশান্তবাবু ও তার পরিবারের অভিযোগ অনুযায়ী, এলাকাটি আড়াআড়িভাবে হিন্দু পাড়া ও মুসলিম পাড়া, দুই ভাগে বিভক্ত হলেও যখন আজ দুপুরে প্রশান্তবাবু তার এলাকায় দলীয় পতাকা লাগাচ্ছিলেন, তখন পাশের মুসলিম পাড়া থেকে শামসের তার চারভাইকে সঙ্গে করে নিয়ে এসে প্রশান্তবাবুর উপর অতর্কিতে আক্রমণ চালায়। পরে তাদের সাথে এসে যোগ দেয় সেলিম, উজির ও অন্যান্য প্রায় পাঁচ-ছয়শ স্থানীয় তৃণমূলী গুন্ডা। আক্রমণে প্রশান্তবাবুর পা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সম্ভবতঃ ভেঙ্গে কয়েক টুকরো হয়ে গিয়েছে। এমতাবস্থায় খবর পেয়ে জ্যেঠুকে বাঁচাতে যায় নবম শ্রেণীর ছাত্র সুজয়। অভিযোগ, যবন দুষ্কৃতীরা তাকেও রেয়াত করেনি। হামলায় বাচ্চাটার হাঁটুও ভয়ানকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। খবর পেয়েই দলীয় কর্মীসহ ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন শ্রীরামপুর লোকসভার বিজেপির প্রার্থী শ্রী দেবজিৎ সরকার মহাশয়। শ্রী দেবজিৎ সরকারের তত্ত্বাবধানে প্রশান্তবাবুকে প্রথমে শ্রীরামপুর ওয়ালস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, পরিস্থিতি বেগতিক দেখলে পিজিতে স্থানান্তরণের চিন্তাভাবনাও করা হয়েছে। অপরদিকে, দেবজিৎবাবু স্থানীয় বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে করে আপাততঃ জাঙ্গিপাড়া থানায় বিক্ষোভরত রয়েছেন। তাদের দাবী, আগামী ১২ ঘন্টার মধ্যে পুলিশ দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করতে না পারলে তারা বৃহত্তর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবেন। দেবজিৎবাবুর অভিযোগ, অভিযুক্তরা বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেরিয়ে আক্রান্ত পরিবারের সদস্যদের হুমকি দিয়ে বেড়ালেও কোনো এক অজানা কারণে তারা পুলিশের খাতায় এখনও ফেরার।

প্রশান্তবাবুর পরিবার ও স্থানীয়দের মতে, ঘটনার আসল সূত্রপাত কিন্তু পরশুদিন শনিবার রাতে। হিন্দু পাড়াতে শ্রীরামনবমী উপলক্ষ্যে লাগানো পতাকা ও ব্যানার শামসের বাহিনী খুলে ফেলার সময় ঘটনাচক্রে সেটা প্রশান্তবাবুর নজরে পড়ে যায়। তিনি তখন তার কোনো প্রতিবাদ না করলেও তিনি শামসের বাহিনীর কুনজরে পড়ে যান। তার মুখ বন্ধ রাখতেই রাজনৈতিক দলের জামা পড়ে শামসের ও তার বিশাল বাহিনী এই অপকান্ডটি করেছে বলে স্থানীয়দের অনুমান।