
নাসিরনগর।।
জেলার নাসিরনগরে যৌতুকে কপাল ভাঙলো লিমা আক্তারের। স্বামী, শাশুড়ী, দেবর ও ননদের দুর্বিষহ অত্যাচারে লিমার ভাগ্য বিড়ম্বনা দেখা দেয়। বিয়ের পরপরই যৌতুক লোভী স্বামী বিদেশ যাবে বলে লিমার নিকট দুই লক্ষ টাকা দাবী করে। এতে লিমা অনীহা প্রকাশ করলে জীবন সঙ্গী স্বামী দুলাল মুখ ফিরিয়ে নেয় লিমা থেকে।
বিয়ের ছয়মাস যেতে না যেতেই বসে শালিস। এতেও ভাগ্য ফিরেনি, শশুর বাড়ির গঞ্জনা সহ্য করতে না পেরে অবশেষে ফিরে আসে পিত্রালয়ে।
ঘটনাটি উপজেলা সদর দাঁতমন্ডল গ্রামের। গত ৪/৪/১৭ তারিখে লিমার বিয়ে হয় মুনছুর চৌধুরীর ছেলে ফয়সল চৌধুরীর সাথে। লিমার গ্রামের বাড়ী পার্শ্ববর্তী ধনকুড়া গ্রামে। তার পিতার নাম ইসমাইল ঠাকুর। ঠাকুর ও চৌধুরী দুই বিয়াই মিলে বিয়ের পূর্বে সামাজিকভাবে বসে ধুম-ধামে কার্য সম্পন্ন করেন। ছেলে পক্ষ ও মেয়ে পক্ষ সাধ্যনুযায়ী লেনদেন করেন।মেয়ে পক্ষ ছেলেকে বিদেশ পাঠাবে বিয়ের পূর্বে এমন কথা ছিলনা।
বিয়ের পর যৌতুক লোভী স্বামী ফয়সল (৩৭) দুই লক্ষ টাকা ছাড়া ঘর করবেনা বলে লিমাকে (২১) জানায়। যে কথা সে কাজ। নতুবা তালাক। সুকৌশলী স্বামী সৌদি চলে যায়। লিমা বাবার বাড়িতেই থাকে। গত ০৪/৩/১৯তারিখে ফয়সল বাড়ি আসে। এ কথা শোনে লিমা তার মাকে নিয়ে দাঁতমন্ডল গ্রামে শ্বশুরবাড়ি যায়। স্বামীর হাত পা ধরে শ্বশুর বাড়িতে থাকতে চায়।কিন্তু স্বামী ফয়সল ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। শ্বাশুরীর সম্মুখেই মারপিট করে লিমাকে বাড়ি ছাড়তে বাধ্য করে। টাকা ছাড়া ঘর-সংসার করা যাবে না বলে তাদের বাড়ি থেকে বের করে দেয়।আহত লিমাকে পিতা ইসমাইল হোসেন রিকশা করে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা করান।অবশেষে কিংকর্তব্যবিমুঢ় পিতা বাদি হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন কোর্টে মামলা করেন। বিজ্ঞ আদালত মামলাটি সরাসরি এফ.আই.আর. এর জন্য নাসিরনগর থানাকে নির্দেশ দেন।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নাসিরনগর থানার এস,আই ছিদ্দিকুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করে জানতে চাইলে তিনি বলেন মামলা তদন্ত চলছে। আসামী পলাতক রয়েছে। আসামীকে গ্রেপ্তারের চেষ্ঠা অব্যাহত রয়েছে।