ঢাকা।।
দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা শপথ গ্রহণ করলেও বাকি থাকলেন শুধু বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
‘ভোটডাকাতি ও প্রহসনের নির্বাচনের’ প্রতিবাদে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে বিএনপি। শুধু তাই নয়, নির্বাচিত দলের ৬জন সদস্য সংসদ হিসেবে শপথ গ্রহণ করবেন না বলেও ঘোষণা দেন বিএনপি মহাসচিব। তবে এরইমধ্যে বিএনপি থেকে নির্বাচিত মোট ৬ জনের মধ্যে ৫ জন সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ গ্রহণ করলেও নিজের সিদ্ধান্ত রক্ষায় শপথ গ্রহণ থেকে বিরতই থাকলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।তবে অসমর্থিত এক সূত্রে জানা গেছে, শপথ গ্রহণের জন্য স্পিকারের কাছে সময় চেয়েছেন তিনি।
গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর দেশে একাদশ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে বিএনপি জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থেকে নির্বাচিত হন মাত্র ৮জন। এরমধ্যে বিএনপির ৫জন, গণফোরামের ১ ও জাতীয় ঐক্যর ১জন শপথ নিয়েছেন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শপথ থেকে শুধু দূরে রইলেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র ও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথ গ্রহণ করার শেষ দিন ছিল সোমবার (২৯ এপ্রিল)। সংবিধানের নিয়ম অনুযায়ী শপথ না নেয়ায় মির্জা ফখরুলের সদস্যপদ বাতিল করে তার নির্বাচনি আসন বগুড়া-৪ শূন্য হয়ে যাবে। শুধু উপযুক্ত কারণ দেখিয়ে শপথ গ্রহণের তারিখ বাড়াতে সংসদের স্পিকারের কাছে চিঠি দিলে স্পিকার সময় বাড়াতে পারেন।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিকালে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছে শপথ বাক্য পাঠ করেছেন বিএনপির নির্বাচিত চারজন সংসদ সদস্য। তারা হলেন- চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের হারুনুর রশীদ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের আমিনুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া ও বগুড়া-৪ আসনের মোশাররফ হোসেন।
গত ২৫ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) শপথ গ্রহণ করেন ঠাকুরগাঁও-৩ আসন থেকে নির্বাচিত জাহিদুর রহমান জাহিদ। শপথ নেয়ায় তাকে দল থেকে বহিষ্কার করে বিএনপি।
এর আগে গত ৭ মার্চ (বৃহস্পতিবার) জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সুলতান মোহাম্মদ মনসুর শপথ গ্রহণ করেন। তাকেও বহিষ্কার করা হয়। এরপর গত ২ এপ্রিল (মঙ্গলবার) গণফোরাম থেকে নির্বাচিত মোকাব্বির খান শপথ গ্রহণ করেন। তবে এখনও তাকে বহিষ্কার করা না হলেও বোরবার (২৮ এপ্রিল) কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে দল থেকে।
[gs-fb-comments]Copyright © 2023 Amaderkatha | Design & Developed By: Design Ghor