কক্সবাজার।।
বাংলাদেশের আয়তনের চেয়ে অনেক বড় ঘূর্ণিঝড় ‘ফনি’ রোববার আঘাত হানার আশংকা !
বঙ্গোপসাগর সৃষ্ট নিম্মচাপ ‘ফনি’র আয়তন ২ লক্ষাধিক বর্গকিলোমিটার। আর বাংলাদেশেরর ভৌগলিক আয়তন ১৪৭৫৭০ বর্গকিলোমিটার। বাংলাদেশের ভৌগলিক আয়তনের চেয়ে অনেক বেশী বড় এই নিম্নচাপটি শনিবার দিবাগত ভোর রাত থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে সমগ্র বাংলাদেশ উপকূলে তীব্রভাবে আঘাত হানতে পারে। ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত হানলে বাতাসের গতিবেগ ঘন্টায় ১৬০ কি:মি: থেকে সর্বোচ্চ ২৩০ কি:মি: পর্যন্ত উঠতে পারে। বর্তমানে নিম্মচাপটির মুখ অধিকাংশই পুরো বাংলাদেশ উপকূলের দিকে এবং আংশিক ভারতের সমুদ্র উপকূলের দিকে। এই নিম্মচাপটি গত তিনদিন যাবৎ এক স্থানে স্থির থেকে শক্তি সন্ঞ্চয় করছে। এটি ধীরে ধীরে হ্যারিকেনে রূপ নিচ্ছে। এটি দুর্বল নাহয়ে উপকূলে আঘাত হানলে ১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিলের ঘূর্ণিঝড় এবং সিডরের চেয়েও অনেক বেশী প্রবল বেগে আঘাত হানার আশংকা রয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল সকাল ৯ টার সার্বিক আবহাওয়া পর্যালোচনা প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা সিবিএন-কে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্মচাপটি মঙ্গলবার সকাল ৯ টায় কক্সবাজার উপকূল থেকে ১৪৬০ কি:মি:, চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে ১৫৩০ কি:মি:, মংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ১৪৮০ কি:মি: এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ১৪৫০ কি:মি: দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থান করছে। সারাদেশের আবহাওয়া অফিসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করে নিজ নিজ কর্মস্থলে ত্যাগ নাকরার জন্য আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক গত ২৯ এপ্রিল জরুরী চিঠি ইস্যু করেছেন। একই চিঠিতে আবাহাওয়া অধিদপ্তরের ছুটিতে থাকা সকল স্টাফদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। তাদের ২৪ ঘন্টার মধ্যে নিজ নিজ কর্মস্থলে যোগ দিতে বলা হয়েছে। নিম্মচাপের কারণে আগামী শুক্রবার পর্যন্ত প্রচন্ড তাপদাহ অব্যাহত থাকবে। এদিকে, কক্সবাজার জেলা প্রশাসন সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় বিশেষ সভা ডেকে সবধরণের প্রাক প্রস্তুতি গ্রহন করেছে। ঘূর্ণিঝড়ের তীব্রতা বাড়ার আগেই জেলার সমগ্র উপকূলবাসীকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে আনা হবে। উপজেলা প্রশাসন, রেডক্রিসেন্ট, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, এনজিও সহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় ইতিমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসন থেকে সবকিছু গুরুত্ব সহকারে মনিটর করা হচ্ছে। নিম্মচাপটি প্রকট আকার ধারণ করার আগেই জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সহ সকল উপজেলা ও উপকূলে ইউপি কার্যালয়ে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হবে। জেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে।বিষয়টি কক্সবাজারের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক আশরাফুল আফসার (উপসচিব) সিবিএন-কে নিশ্চিত করেছেন। ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক আশরাফুল আফসার ঘূূর্ণিঝড় সহ সকল দূর্যোগ থেকে রেহায় পাওয়ার উদ্দ্যেশে সকলের দোয়া ও আশীর্বাদ ও সহযোগিতা কামনা করেছেন।
Copyright © 2023 Amaderkatha | Design & Developed By: Design Ghor