আমরা সময়ের কথা সময়ে বলি।

Advertisement

আজ মহান মে দিবস

জাতীয় 1 May 2019 ৪০২

ডেস্ক রিপোর্ট।।

আগামী কাল মহান ১ মে -আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংহতি দিবস, বিশ্বের শত শত কোটি শ্রমিক মেহনতি মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে শোষক বুর্জোয়া ব্যবস্থা ভেঙ্গে চুরমার করে শোষনমুক্ত সমাজ গড়ার অঙ্গীকার দিবস। ১৮৮৬ সালের এদিনে ৮ ঘণ্টা শ্রম দিবসের দাবিতে আমেরিকার শ্রমিক শ্রেণী হে মার্কেটে ধর্মঘট আন্দোলন শুরু করে, লাখো শ্রমিক এ আন্দোলন ধর্মঘটে যোগ দেয়, আন্দোলন চূড়ান্ত রূপ ধারণ করলে মালিক শ্রেণী সরকারের সহযোগীতায় শ্রমিক নেতাদের গ্রেপ্তার করে। এর প্রতিবাদে ৩ মে, ৪ মে শ্রমিকরা সমাবেশ করেন, ৩ মে ম্যাকরিপার কারখানায় অনুষ্ঠিত শ্রমিক সমাবেশে পুলিশ গুলি করে ৬ জনকে হত্যা করে। ৪ মে হে মার্কেটের স্কোয়ারে শ্রমিকরা একটি সভা আহবান করে, সভা পণ্ড করার জন্য মালিক শ্রেণীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়, সভায় বোমা ফাটানো হয়, পুলিশ নির্বিচারে গুলি করে, বহু লোক হতাহত হয়। পুলিশ কয়েক জন শ্রমিক নেতাকে গ্রেপ্তার করে। ১৮৮৬ সালের ২১ জুন শিকাগোর আদালতে তাঁদের বিচার হয়, বিচারে আলবার্ট আর পারসন্স,অগষ্ট স্পাইস, জর্জ অ্যানজেল,অ্যাডলাফ ফিশার, সামুয়েল ফিল্ডেন,লুইস লিংগে, মাইকেল স্কোয়াব এর ফাঁসির আদেশ দেয়া হয়। বিশ্বের অন্যতম সাম্যবাদী নেতা ও শিক্ষক মহামতি কমরেড এঙ্গেলস নেতৃত্বে কমিউনিস্ট বিপ্লবী বুদ্ধিজীবী শ্রমিক শ্রেণীর নেতা ও প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে ফ্রান্সের প্যারি নগরে ইউরোপ, আমেরিকার ২০ টি দেশ থেকে ৩৯৩ জন প্রতিনিধি নিয়ে ‘ইন্টারন্যাশনাল সোশ্যালিস্ট ওয়ার্কস কংগ্রেস ‘ অনুষ্ঠিত হয়।কমরেড এঙ্গেলস ও কমিউনিস্টদের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত কংগ্রেস -যাহা ২য় আন্তর্জাতিক হিসাবে স্বীকৃতি লাভ করে। ইক্ত ২য় আন্তর্জাতিক কংগ্রেসে ৮ ঘণ্টা শ্রমদিবসের আইনি প্রবর্তন ঘটানোর অনুমোদন করে এবং ‘১ মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংহতি দিবস’ পালনে সিদ্ধান্ত হয়।২য় আন্তর্জাতিকের সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক ১৮৯০ সালের ১ মে হতে আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংহতি দিবস পালনের সিদ্ধান্ত হয়ে, সেই হতে আজ পর্যন্ত শ্রমিক সংগতি দিবস পালন হয়ে আসছে। বাংলাদেশে অনেক পূর্ব হতে শ্রমিক শ্রেণী ১ মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক
সংহতি দিবস পালন করে আসছে।অতীতে বিশেষত পাকিস্তান আমলে শ্রমিক শ্রেণীর সংগ্রামের মানসিকতা গড়ে উঠেছিল, সে সময় বেশির ভাগ শ্রমিক নেতা কর্মির শ্রেণী মানসিকতা ছিল উজ্জ্বল, তারা হেলপার,শ্রমিক হিসাবে নিয়োগ,পর্যায়ক্রমে সি বি এ এর কর্মি সদস্য নেতা হওয়ার পরও শ্রেণী চেতনা ধারন করতেন, নিজকে শ্রমিক শ্রণীর লোক মনে করতেন, কিন্তু পরে তা ফিকে হয়ে যায়। অতীতে মধ্যবিত্ত, বুদ্ধিজীবী, ছাত্রদের বিরাট অংশ বিপ্লবী চেতনায় উদ্ভূদ্ধ হয়ে শ্রমিক কৃষক মেহনতি জনতাকে বিপ্লবী চেতনা, শ্রেণী চেতনা , শ্রমিক মেহনতিদের দাবী আদায়ে আন্দোলন সচেতনতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখতেন, এখন তা হয়না। আজকে বাংলাদেশে সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসন শোষণ, সাম্প্রদায়িকতাবাদীদের তাণ্ডব ও অর্থ রাজনীতি সমাজ সংস্কৃতিতে অতিমাত্রায় প্রভাব বিস্তার ও নিয়ন্ত্রণ, লুটেরা পুঁজিপতিদের শোষণ লুণ্ঠন দিনদিন বাড়ছে, মেহনতি জনতার মূল্য এখানে নেই বললেই চলে, তাঁরা হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করেই চলছে, অর্থনীতির চাকা ঘোরাচ্ছে এই শ্রমিক কৃষক নারী প্রবাসী মেহনতি জনতা। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর অনেক সম্পদ শিল্প কারখানা জাতীয়করণ করা হয়, যারা এসব শিল্প পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছিল, তাদের অযোগ্যতা লোভ লুটপাটের কারনে জাতীয়করণের সুফল পাওয়া যায়নি, সৎ নেতৃত্ব ও দক্ষ পরিচালকের অভাবে অনেক শিল্পকারখানা ধ্বংশ হয় ও লোকসানের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়। মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর, যদিও তখন বাংলাদের অর্থ কাঠামো পুঁজিবাদী ব্যবস্থায় যায়নি,মুৎসুদ্দি পুঁজি ও আধা সামন্তবাদী ব্যবস্থা – যেখানে অনুন্নত কৃষি, শিল্পে পুঁজির তেমন বিকাশ হয়নি, শ্রমিক শ্রেণীরও বিকাশ হয়নি, শ্রমিক শ্রেণীর চিন্তা – চেতনার মান বাড়েনি। এমনতর অনুন্নত কৃষিপ্রধান দেশে বুর্জোয়াদের নেতৃত্বে ক্ষমতা দখল তখনকার সময় ঢালাও ভাবে জাতীয়করণ, সমাজতন্ত্র কায়েমের উপযোগী ছিলনা।জাতীয়করণ প্রকৃয়ায় শ্রমিক শ্রেণীর সৎ নেতৃত্ব থাকতে হয়, দেখা গেছে কর্মকর্তা এবং নেতাদের যোগসাজশে শিল্পসম্পদ ধ্বংশ করে তারা অবৈধভাবে টাকাকড়ি গাড়ী বাড়ীর মালিক হয়েছে।বেশির ভাগ শ্রমিক নেতারা জাতীয়করণের মর্ম বুজতে চেষ্টা করেনি, অসাধু নেতা, কর্মকর্তা, লোভী শ্রমিক নেতা এবং যথাযত নীতি নির্ধারণ ও পরিকল্পনার অভাবে জাতীয়করণ দ্বারা গণমানুষের কল্যাণ না হয়ে জাতীয়করণ ও সমাজতন্ত্র প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে এবং জাতীয়করণ ও সমাজতন্ত্রের বারোটা বেজেছে। অতীত থেকে যে ধারাবাহিকতায় শ্রমিক সংগঠন গড়ে উঠেছিল, পরে সেসব সংগঠন শ্রেণী চেতনাগত অবস্থান তেমন বৃদ্ধি পায়নি।বিভিন্ন কায়দায় ট্রেড ইউনিয়ন ভাঙ্গা, কব্জায় নেয়া, শ্রমিক সংগঠন নিয়ন্ত্রণের জন্য ধনীক শ্রেণীর ষড়যন্ত্র চক্রান্ত শ্রমিকদের শ্রেণী চেতনাগত বিকাশে নেতিবাচক ভূমিকা রাখে। ‘৭৫ এর ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করার পর আবার স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি দেশের রাজনীতি অর্থনীতি সমাজ সংস্কৃতিতে প্রভাব বিস্তার করায় শিল্প ও শ্রমিকের অনেক ক্ষতি হয়। পাক আমলে এ দেশে যারা অর্থ সম্পদের মালিক ছিল, যারা অর্থ রাজনীতি সমাজ সংস্কৃতি নিয়ন্ত্রণ করত তাদের বেশির ভাগই ছিল মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তি,’৭৫ এর ১৫ আগষ্ট পট পরিবর্তনের পর তারা আবার হারানো স্বর্গ ফিরে পায়, তারা রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রি, মন্ত্রী , সাংসদ, নেতা কর্তা হওয়ার সুযোগ পায়,পুনরায় বেশির ভাগ শিল্প ব্যবসা বানিজ্য তাদের নিয়ন্ত্রণে নেয়। এসময় যারা ক্ষমতায় এসেছিল তাদের কোন রাজনৈতিক ধারাবাহিকতা ছিলনা, দেশ, রাজনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য তারা একদিকে স্বাধীনতা বিরোধীদের সাথে আপোষ করে, তাদেরকে ক্ষমতার অংশীদার করে,অপর দিকে দল ভারী করার জন্য লোভ লালসা দেখায়ে শ্রমিক রাজনীতিকে কুলষিত করে, শ্রমিকদের মৌলিক চাহিদা পূরণ ও ন্যায্য মজুরির ব্যবস্থা না করে কিছু বোনাস, কিছু বেতন বৃদ্ধি, অপর দিকে জিনিষ পত্রের দাম বাড়িয়ে দেওয়া, এসব করে শ্রমিক শ্রেণীর চেতনা শুভ মানসিকতাকে সুবিধাবাদী ধারায় নিয়ে যায়,যার কুফল আমাদের দীর্ঘ সময় ভোগ করতে হবে। বর্তমানে শ্রমিকরা যে মজুরি পাচ্ছে তা দিয়ে মৌলিক চাহিদাও পূরণ হচ্ছেনা, অথচ দেশ, দেশের অর্থনীতি সচল রাখছে শ্রমিক কৃষক প্রবাসী মেহনতি জনতা। বাংলাদেশের গার্মেণ্টস শিল্প ৭০০০ হাজার কারখানায় ৫১ লাখ শ্রমিক সহ বিভিন্ন সেক্টরের শ্রমিকদের শ্রম, প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স, কৃষকের উৎপাদিত ফসল – চাল গম ভুট্টা আলু সহ ৫ কোটি টন খাদ্য শস্য, মৎস্য সবজি ফলমূল গবাদিপশু বনায়ন বিভিন্নভাবে এদেশের কৃষক শ্রমিক মেহনতি জনতা দেশকে সচল রাখছে আগায়ে নিচ্ছে, উৎপাদন যা অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখছে।গার্মেন্টস শ্রমিক সহ অন্যান্য সেক্টরের শ্রমিকরা মূল বেতন বাড়ী ভাড়া চিকিৎসা খাদ্য সহ যে বেতন ভাতা পায়, (একজন শ্রমিকের পরিবারে মাসে খরচ হয় ১৫/১৬ হাজার টাকা) তা’দিয়ে নুন আনতে পান্তা ফুরায় অবস্থা হয়। শ্রমিক নির্দিষ্ট সময় থেকে অতিরিক্ত সময় পরিশ্রম করেও তাঁরা ন্যায্য ম,জুরি পাচ্ছেনা।আমাদের সময় কম: ৭/১/২০১৮ ইং তারিখের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করে যে গার্মেন্টস শ্রমিকদের মজুরি পাকিস্তানে ৯৯ ডলার, কম্বোডিয়ায় ১২৮ ডলার,ভারতে ১৩৬ ডলার, ভিয়েতনামে ১০০ ডলার,চীনে ২৯১ ডলার, আর বাংলাদেশে ৭১ ডলার। কিন্তু এত বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার বৈদেশিক মূদ্রা অর্জনের পরও বেতন এত কম, অন্যান্য দেশের শ্রমিকদের মজুরির তুলনায় আমরা কোথায় আছি? আমাদের শ্রমিক শ্রেণী ন্যায্য মজুরি পাচ্ছেনা, তাঁদের শ্রমশক্তির মূল্য লুটপাট করে নিচ্ছে লুটের পুঁজিপতিরা। শ্রমিক কৃষক নারী মেহনতি জনতার আবদানে উন্নয়ন , বাংলাদেশ মধ্য আয়ের দেশ হওয়ার পথে, অথচ শ্রমিক কৃষক মেহনতিরাই বঞ্চিত ও নিঃস্ব হচ্ছে। সামনের দিনগুলো কি এভাবে যাবে????????? তারা শুধু বঞ্চিতই নয়, তারা প্রতারনারও শিকার হচ্ছে। পহেলা মে আসে, যায়, আবার আসে কিন্তু দুঃখ হয়, যখন দেখি আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংহতি দিবসে বেশির ভাগ অনুষ্ঠানে শ্রমিক সমাবেশ মিছিলে নেতৃত্ব দিচ্ছে লুটেরা শ্রেণী!!!!!!! ১ মে শ্রমিকদের ঐক্যের দিশা, যা শ্রমিকের চেতনাকে শানিত ও গতিময় করে, এদিন শ্রমিকদের জাগ্রত করে।কিন্তু বাংলাদেশে এর বৈপরীত্য – এখানে অনেক শ্রমিক লুটেরা শ্রেণীকে তোষণ করে, লুটেরাদের বন্দনা গায়।বাংলাদেশে সাম্রাজ্যবাদ, লুটেরা পুঁজিবাদ, সাম্প্রদায়িকতাবাদের দৌরাত্ম্য শোষণ শাসন লুণ্ঠন নিপীড়ন থেকে রেহায় পেতে হলে ১ মে এর চেতনায় শ্রমিক কৃষক নারী মেহনতি জনতাকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। পাকিস্তানের হানাদার বাহিনী ও রাজাকার আলবদর দ্বারা ৩০ লাখ শহীদ, ৩ লখ মা-বোনের সম্ভ্রম হারানো, বাড়িঘর জ্বালানো, ধন সম্পদ লুট – এক সাগর রক্তের বিনিময়ে স্বাধীনতা অর্জন হলেও শ্রমিক কৃষক নারী মেহনতি জনতার অর্থনৈতিক মুক্তি সহ সার্বিক মুক্তি আসেনি।শোষণমুক্ত সমাজ গঠন, গণমানুষের উপযোগী অর্থনীতি রাজনীতি সংস্কৃতি – সমাজব্যবস্থা গড়ে উঠেনি। জাতীয়করণ, সমাজতন্ত্র কায়েম কথার কথা নয়, দেশের অর্থ – রাজনীতি, সমাজ – সংস্কৃতির বাস্তব অবস্থা বিশ্লেষণ, তত্ত্ব বিনির্মাণ, পরিক্পনা লড়াই সংগ্রাম বাস্তবায়ন ও শোষক শ্রেণীকে পরাজিত করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করতে হয়। জাতীয়করণ কখন কিভাবে, কাদের দ্বারা, কতটুকু বাস্তবায়ন করতে করবে, তা সমাজের বাস্তব অবস্থার ববিচার বিশ্লেষণ , অধ্যায়ন অনুশীলন গবেষণা নীতি নির্ধারণ প্রয়োগ এই হলো দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদ ও ঐতিহাসিক বস্তুবাদ ভিত্তিক আদর্শিক ধারা। সেই বস্তুবাদী ধারার আদর্শিক কর্মি বাহিনী ও নেতৃত্ব ব্যতিত জাতীয়করণ ও সমাজতন্ত্র বাস্তবায়ন সফল হতে পারেনা। ইতিহাস বলে জাতীয়করণ, সমাজতন্ত্র কায়েম বুর্জোয়াদের নেতৃত্বে, বুর্জোয়া ব্যবস্থায় সম্ভব নয়, বুর্জোয়া নেতৃত্বে বুর্জোয়া কাঠামোতে সমাজতন্ত্র কায়েম জাতীয়করণ করতে গিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শ্রমিক মেহনতি জনতা, শ্রমিক শ্রেণীর পার্টিকে চরম মমূল্য দিতে হয়েছে, করুন পরিনতির শিকার হতে হয়েছে, বাংলাদেশেও এর ব্যতিক্রম হয়নি। বর্তমান বাস্তবতায় আামদের দেশে লুটেরা পুঁজি বাড়ছে, কলকারখানাও বাড়ছে, এর সাথে সাথে শ্রমিক শ্রেণীও বাড়ছে সংগঠিত হচ্ছে, নারীরাও এগিয়ে আসছে, গার্মেন্টস শিল্পে মহিলা ৫৬% অন্যান্য পেশায়ও মহিলা বাড়ছে, সংগঠিত হচ্ছে, শ্রমিক শ্রেণীর দাবী আদায়ের সংগ্রামের তীব্রতাও বাড়ছে। লুটেরা শ্রেণীর লুটপাটও তীব্রতর হচ্ছে।বিশ্বে রাতারাতি ধনী হওয়ার দৌড়ে বাংলাদেশের লুটেরা ধনীরা পিছায়ে নেই, দ্রুত ধনী হওয়ার দৌড়ে তারা এক নম্বরে আছে।দেশে শ্রমিক মেহনতি মানুষের সংখ্যা বাড়ছে,সাথে তাদের সংগঠন, তাঁদের চেতনাও বাড়ছে। আর কত কাল লুটেরা শ্রেণী তাদের লুটপাট তাণ্ডব চালাবে????দেওয়ালে পিঠ ঠেকতে ঠেকতে ঠিকই শ্রমিক কৃষক মেহনতি জনতার চেতন হবে, তাঁরা সংগঠিত হবে, এক সকালে দেখা যাবে ভোরের সূর্য উদয়ের সাথে, সাথে তাঁদের ন্যায্য পাওনা ও অধিকার আদায়, উৎপাদনের উপায় উপকরণ বণ্টন নিয়ন্ত্রণের জন্য শ্রমিক কৃষক নারী মেহনতি জনতা রাস্তায় নেমে আসবে, তখন কোটি কোটি জনতাকে আর রোখানো যাবেনা, লুটেরা শ্রেণী তখন পালাতে গিয়েও নিস্তার পাবেনা, জনতা সমস্বরে বলবে পালাবি কোথা?, হিসেব দিয়ে যা।সেদিনই বাংলাদেশে ১ মে শ্রমিক দিবস পালন সার্থক হবে।
১৮৮৬ সালে ৮ ঘণ্টা কাজের দাবীতে যাঁরা বুর্জোয়া শ্রেণী ও তাদের স্বার্থরক্ষাকার
ী পেটুয়া বাহিনীর হাতে শহীদ হয়েছেন,আহত হয়েছেন, যাঁদের ফাঁসি হয়েছে তাঁদের জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা ও লাল সালাম। জয় বাংলা,জয় হোক শ্রমিক ও মেহনতি মানুষের।