আমরা সময়ের কথা সময়ে বলি।

Advertisement

সাইক্লোনে রূপ নেয়া ফণীর নামকরণ

সারাদেশ 2 May 2019 ৪৯৪

 

ঢাকা।।

সাইক্লোনে রূপ নেয়া ফণীর নামকরণ করেছে বাংলাদেশ। বাংলা ‘ফণী’ শব্দের অর্থ ফণা বিশিষ্ট বিষধর সাপ। এটি পুরুষবাচক বিশেষ্য (নাম পদ) যার স্ত্রীবাচক বিশেষ্য রূপ হচ্ছে ‘ফণীনি’। ঘূর্ণিঝড় বা সাইক্লোনের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলোর ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ, তথ্য প্রদান, সতর্কতা সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনা ইত্যাদি কাজ সহজ করতেই এই নামকরণের প্রথা প্রচলিত হয়। ইংরেজিতে (Fani) লেখা হলেও এর উচ্চারণ ফণী।

ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ হয় যেভাবে
বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা আঞ্চলিক কমিটি একেকটি ঝড়ের নামকরণ করে থাকে। যেমন- ভারত মহাসাগরের ঝড়গুলোর নামকরণ করে এই সংস্থার আটটি দেশ। দেশগুলো হচ্ছে- বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, মিয়ানমার, মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড এবং ওমান।

৮ সদস্যের এই প্যানেলকে বলা হয় ‘দ্য ইউনাইটেড ন্যাশনস ইকোনোমিক অ্যান্ড স্যোশিয়াল কমিশন ফর এশিয়া অ্যান্ড  প্যাসিফিক (এস্ক্যাপ-ESCAP)।

২০০৪ সাল থেকে বঙ্গোপসাগর ও আরব সাগরের উপকূলবর্তী দেশগুলোয় ঝড়ের নামকরণ শুরু। সে সময় আটটি দেশ মিলে মোট ৬৪টি নাম প্রস্তাব করে। সেসব ঝড়ের নামের মধ্যে এখন ‘ফণী’ ঝড়কে বাদ দিলে আর সাতটি নাম বাকী রয়েছে। ‘ফণী’ নামটি বাংলাদেশের প্রস্তাবিত। পরের ঝড়ের নাম হবে ভারতের প্রস্তাব অনুযায়ী ‘ভায়ু’। তারপরে আরও ছয়টি ঝড়ের জন্য তালিকায় রয়েছে। সেগুলো হলো- হিক্কা, কায়ার, মাহা, বুলবুল, পাউয়ান এবং আম্ফান। এর আগে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে প্রস্তাব করা নামগুলো ছিল হেলেন, চাপালা ও অক্ষি।