বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু ছাত্র মহাজোটের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট পলাশ কুমার রায়কে পঞ্চগড় জেলা কারাগারে শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুনে জ্বালিয়ে হত্যা করার প্রতিবাদে ও অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের উদ্যোগে অদ্য ২৬ এপ্রিল শুক্রবার সকাল ১০ টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানব বন্ধন কর্মসূচী পালন করে। হিন্দু মহাজোটের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডঃ দীনবন্ধু রায়ের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, সিনিয়র সহ সভাপতি ডাঃ এম কে রায়, প্রদীপ পাল, মিঠুরঞ্জন দেব, মহাসচিব অ্যাডঃ গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব উত্তম দাস সাংগঠণিক সম্পাদক অধ্যাপক সুব্রত দাস, আর্ন্তজাতিক সম্পাদক রিপন দে, মহিলা মহাজোটের সভাপতি প্রীতিলতা বিশ্বাস, ঢাকা মহানগর দক্ষিনের সভাপতি আ্যাডঃ রণি ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক শ্যামল ঘোষ, হিন্দু সাংস্কৃতিক মহাজোটের সভাপতি সাধন লাল দেবনাথ, যুব মহাজোটের সভাপতি কিশোর বর্মন, নির্বাহী সভাপতি প্রদীপ শঙ্কর, সিনিয়র সহ সভাপতি অপূর্ব কুমার পাল, প্রধান সমন্বয়কারী প্রশান্ত হালদার, সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ কুমার মাহাতো, সাংগঠণিক সম্পাদক প্রদীপ সরদার, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি নিউটন পন্ডিত, সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় দেবনাথ, ছাত্র মহাজোটের সভাপতি সাজেন কৃষ্ণ বল, সাধারণ সম্পাদক হরে কৃষ্ণ বারুরী প্রমুখ।
অ্যাডঃ পলাশ কুমার রায় সৎ, আদর্শ ও অন্যায়ের সাথে আপোষহীন ছিলেন। কোহিনূর কোম্পানীতে লিগ্যাল এ্যাডভাইজার হিসেবে থাকাকালে ভূয়া দলিল পত্র দিয়ে ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার বিষয়ে আপত্তি জানিয়িেছলেন। তাকে চাপ দিয়ে মিথ্যা ডকুমেন্ট তৈরী করতে বাধ্য করার চেষ্টা করলে কোম্পানীর অনৈতিক কর্মকান্ড ব্যংককে অবহিত করেন। সে কারনে সেই সময় তাকে গুম করার চষ্টা করা হয়েছিলো। তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছিল। তিনি গত উপজেলা নির্বাচনে পঞ্চগড় জেলার আটোয়ারী উপজেলার প্রার্থী ছিলেন। সেখানে আওয়ামী প্রার্থী পক্ষের লোকের শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কুটুক্তির মিথ্যা অভিযোগে পুলিশ তাকে পূনরায় গ্রেফতার করে। গত ২৬ এপ্রিল সকালে কারা অভ্যন্তরে দুই ব্যাক্তি টয়লেটের কাছ থেকে তার গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। চিৎকার করা অবস্থায় কারা রক্ষীরা এসে আগুন নিভিয়ে ফেলে। ততক্ষনে তার দেহের বেশীরভাগ পুড়ে যায়। অগ্নি দগ্ধ অবস্থায় তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাাঁসপাতালে ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাাঁসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে। ৩০ এপ্রিল ১.৪৫ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাঁসপাতালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
বক্তাগণ বলেন পৃথিবীর ইতিহাসে এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা আমরা দেখিনি। দিন দিন বাংলাদেশ হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য অসহনীয় হয়ে উঠছে। কারাগার একটি নিরাপদ জায়গা সেখানেও যদি মানুষকে নৃশংসভাবে হত্যার শিকার হতে হয়। তাহলে আর নিরাপদ জায়গা কোথায়? বক্তাগণ পলাশ হত্যাকান্ডে জড়িদের ৩ দিনের মধ্যে গ্রেফতার, দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালে বিচার ও ফাঁসী দাবী করেন।
অন্যথায় আগামী ১০ এপ্রিল সারা দেশে একযোগে দেশের প্রতিটি জেলা ও থানা শহরে মানব বন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচীর ডাক দিতে বাধ্য হবে। বক্তাগণ আরো বলেন বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মী অ্যাডভোকেট রবীন ঘোষ আলোচিত সৌরভ মন্ডল হত্যাকান্ডের তদন্তের অগ্রগতি জানতে গৌরনদী থানায় গেলে গৌরনদী থানার ওসি তাকে আটক করে রাখে। তার বিরুদ্ধে চাাঁদাবাজীর মিথ্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নেয়। বক্তাগণ মানবাধিকার কর্র্মী রবীন ঘোষের আটক করায় এবং ভয়ভীতি দেখানোর তীব্র নিন্দা জানান।
Copyright © 2023 Amaderkatha | Design & Developed By: Design Ghor