আমরা সময়ের কথা সময়ে বলি।

Advertisement

ফণীর প্রভাবে কুতুবদিয়া দ্বীপে ২০ গ্রাম প্লাবিত

সারাদেশ 4 May 2019

কক্সবাজার।।

ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে কক্সবাজারে ২০ গ্রাম প্লাবিত

ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে কুতুবদিয়া দ্বীপে ২০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। অরক্ষিত বেড়িবাঁধের ও আমাবশ্যার জোয়ারের কারণে সমুদ্রের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ৪/৫ ফুট উচ্চতা বৃদ্ধি পাওয়ায় এসব গ্রাম প্লাবিত হয়েছে বলে জানান উপজেলা প্রশাসন।

প্লাবিত এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় দেড়শ পরিবারকে পুলিশ প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতায় নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে বলে জানান কুতুবদিয়া থানার ওসি দিদারুল ফেরদৌস।

এদিকে প্লাবিত গ্রামগুলোতে সারা বছর জোয়ার-ভাঁটা চলছে বলে জানান উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। তিনি বলছেন, কুতুবদিয়ায় রাস্তা ঘাটের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে কিন্তু পানি উন্নয়ন বোর্ডের গাফিলতি ও দুর্নীতির কারণে বেড়িবাঁধ সংস্কার হয়নি।

ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে কক্সবাজারে প্লাবিত গ্রাম

প্লাবিত গ্রামগুলোর মধ্য রয়েছে, আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নের পশ্চিম তাবলরচর, আনিচের ডেইল, জেলেপাড়া, কাহারপাড়া। বড়ঘোপ ইউনিয়নের দক্ষিণ মুরালিয়া, অমজাখালী ও আজম কলোনি। কৈয়ারবিল ইউপির মলমচর, উত্তর কৈয়ারবিল, মহাজনপাড়া ও মফজল ডিলার পাড়া। দক্ষিণ ধুরুং ইউপির বাতিঘর পাড়া, উত্তর ধুরুং ইউপির কাইছারপাড়া, নয়াকাটা, আকবরবলী ঘাট, ফয়জানিরবাপের পাড়া, পূর্ব নয়াকাটা ও উত্তর সতর উদ্দিন। লেমশীখালী ইউপির পেয়ারাকাটা ও ক্রসডেম বিসিক এলাকা।

পশ্চিম তাবলরচর গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়া লুৎফরন্নেছা (৫৬) জানান, ঘূর্ণিঝড় ফণী আর অমাবশ্যার জেয়ারের প্রভাবে তাদের ঘরবাড়ি তলিয়ে গেছে। নিরুপায় হয়ে আশ্রয় কেন্দ্রে চলে এসেছে।

ইউএনও দীপক কুমার রায় বলেন, শুক্রবার সকালে উপজেলা প্রশাসন বেড়িবাঁধ ভাঙ্গন এলাকায় বসবাসরত লোকজনকে মাইকিং করে নিবাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। প্লাবিত এলাকার প্রায় শতাধিক পরিবারের লোকজনকে আশ্রয় কেন্দ্রে রয়েছে। এসব লোকজনকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।

কুতুবদিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আওরঙ্গজেব মাতাব্বর বলেন, কুতুবদিয়া দ্বীপ উপকূলের ৪০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের মধ্যে ১৪ কিলোমিটার বাঁধ ভাঙ্গা রয়েছে। এতে সাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ফণী ও আমাবশ্যার জোয়ারের কারণে ব্যাপক এলাকা প্লাবিত হয়েছে। জোয়ারের প্রভাবে কৃষক ও লবণচাষিদের কোটি কোটি টাকার ফসল ও লবণ নষ্ট হয়েছে।

কক্সবাজার জেলার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান বলেন, পূর্বে থেকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৭১ পোল্ডারের কুতুবদিয়া দ্বীপে ১৪ কিলোমিটার বেড়িবাধ ভাঙ্গা ছিল। বিগত দুই বছর পূর্বে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় প্রায় শতকোটি টাকা ব্যায়ে বেড়িবাঁধ নির্মাণের জন্য ঠিকাদার নিয়োগ দিলেও যথাসময়ে কাজ করেনি। তবে বেশি ভাঙন এলাকায় জোয়ার রক্ষার জন্য জিও ব্যাগে বালি ভর্তি করে জোয়ার ঠেকানোর জন্য বাঁধ দেয়া হয়েছে।