দেশে ফিরেই প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করলেন সেতুমন্ত্রী

১৫ মে, ২০১৯ : ৪:৪৮ অপরাহ্ণ ৩৯৮

ঢাকা।।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করতে স্ত্রীকে নিয়ে গণভবনে গেছেনআওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে তিনি গণভবনে প্রবেশ করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের তথ্য কর্মকর্তা মো. আবু নাছের।

এর আগে দুপুর ২টা ১০ মিনিটে সিঙ্গাপুর থেকে বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে রওনা দেন ওবায়দুল কাদের। বিকাল ৫টা ৫৫ মিনিটে বাংলাদেশ বিমানের বিজি ০৮৫ ফ্লাইটে করে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি।

এ সময় বিমানবন্দরে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা ওবায়দুল কাদেরকে অভ্যর্থনা জানান।

বিমানবন্দরে ফিরেই সংবাদিকদের মুখোমুখি হন ওবায়দুল কাদের।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, একজন রাজনীতিকের সবচেয়ে বড় অর্জন মানুষের ভালোবাসা। আমি আমার কাজ ও ব্যবহারের মাধ্যমে তা অর্জন করতে পেরেছি। মানুষের ভালোবাসায়, দোয়ায় আজ আমি ২ মাস ১১ দিন পর দেশে ফিরতে পেরেছি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের জীবনটাই হলো স্রোতের বিপরীতে সাঁতার কাটা। আমরা এটা শিখেছি বঙ্গবন্ধুর পরিবার থেকে। শেখ হাসিনার কাছ থেকে।

তিনি বলেন, আমাদের প্রিয় নেত্রী পরম মমতায় আমার দেখভাল করেছেন। একজন মা তার সন্তানের জন্য যা করেন, শেখ হাসিনা আমার জন্য তাই করেছেন। কৃতজ্ঞতা জানানোর ভাষা আমার জানা নেই। ঋণের বোঝা আরও বেড়ে গেল।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর আরেক কন্যা শেখ রেহানা কোরআন শরিফ পড়ে আমার জন্য দোয়া করেছেন। তার কাছেও আমার কৃতজ্ঞতা।

তিনি বলেন, আমি অসুস্থ হওয়ার পর নেতাকর্মীরা হাসপাতালে ছুটে গিয়েছিলেন। যদিও সে সময় আমি আমার মধ্যে ছিলাম না। আমি শুনেছি শেখ হাসিনা হাসপাতালে আমাকে নাম ধরে ডেকেছিলেন। আমি নাকি কেবল তার ডাকে সাড়া দিয়েছিলাম।

আবার নতুন উদ্যমে নেতাকর্মীদের নিয়ে কাজ করবেন জানিয়ে কাদের বলেন, আমি না থাকার পরও নেতাকর্মীরা ইউনিটি ধরে রেখে যেভাবে টিমওয়ার্কের মাধ্যমে দলকে এগিয়ে নিয়েছেন- তা আমায় অভিভূত করেছে। আমরা এভাবেই শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করব।

বাইপাস সার্জারির পর সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতাল থেকে ওবায়দুল কাদের গত ৫ এপ্রিল ছাড়পত্র পান। তিনি হাসপাতালের কাছেই একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। ২০ মার্চ মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে ওবায়দুল কাদেরের বাইপাস সার্জারি হয়।

প্রসঙ্গত গত ৩ মার্চ সকালে বুকে প্রচণ্ড ব্যথা নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের(বিএসএমএমইউ) করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) ভর্তি হন ওবায়দুল কাদের।

সেখানে এনজিওগ্রাম করার পর তার করোনারি ধমনিতে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। সেদিন তাকে দেখতে হাসপাতালে ছুটে যান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

পরে উপমহাদেশের বিখ্যাত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. দেবী শেঠির পরামর্শে উন্নত চিকিৎসার জন্য ৪ মার্চ তাকে সিঙ্গাপুর নেয়া হয়। সেখানে দীর্ঘ দুই মাস তার চিকিৎসা চলে।

[gs-fb-comments]
Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com