
রিপন।।
হিন্দুধর্মে বেলগাছ হল একটি পবিত্র গাছ। বেলপাতা বা বেল গাছকে আমরা ভগবান শিবের সঙ্গে তুলনা করি।প্রায় বিভিন্ন জায়গাতেই বেলগাছ দেখতে পাওয়া যায়। দুর্গাপুজোর সময় ১০৮ টি বেলপাতা দিয়ে মা দুর্গার পূজা হয়। এক মহাত্মা বলেছিলেন মা দুর্গার কপালের ঘাম মাটিতে পড়ে একটি বেল গাছ জন্ম নেয় যা বিল্ব গাছ। বেলগাছ ত্রিগুণের অধিকারী যথা— স্বতঃ, রজ, তম।
জ্যোতিষ মতে বাড়ির দিক অনুসারে বেলগাছ থাকলে কি উপকার জেনে নিন –
বাড়ির উত্তর পূর্ব দিকে বেলগাছ – সম্পদ প্রাপ্তি ও অশুভত্ব থেকে মুক্তি।বাড়ির পূর্ব দিকে বেলগাছ – বিভিন্ন সম্পদ ও শান্তি লাভের নির্দেশ করে। বাড়ির পশ্চিম দিকে বেলগাছ – সুসন্তান লাভের পথ প্রশস্ত করে। বাড়ির দক্ষিণ দিকে বেলগাছ – দুর্ঘটনা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
বৈদিক শাস্ত্র মতে বেলপাতাকে অনেক রকম ভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে –
বেলপাতাার তিনটি পাতা একত্রে থাকলে হবে তখন তাকে একটি বেলপাতা বলা হয়। এই তিনটি বেলপাতা হল ব্রহ্মা, বিষ্ণু, মহেশ্বর। এই তিনটি পাতাকে যথাক্রমে তিনটি চোখ বলা হয়। তিনটি পাতা যথাক্রমে – পূজা, স্তোত্র ও জ্ঞান।
বেলডাল যথাক্রমে সৃষ্টি, স্থিতি ও লায়াকে উপস্থাপনা করে।বেলপাতার সামনের অংশকে অমুর্যাম বলা হয়।যে কোনও পূজার ক্ষেত্রে যদি অসম্পূর্ণ বা ছেড়া বিল্ব পত্র অর্পণ করা হয় তাহলে পাপ করার সঙ্গে তুলনা করা হয়। বেল ফলকে শ্রীফল বলেও জানা যায়। শিব পূজার একটি উত্তম উপাদান বেল পাতা।
শারীরিক প্রয়োজনে বেলগাছ –
বেল ফলের গুঁড়ো দুধের সঙ্গে পান করলে রক্তাল্পতার থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।হাই ব্লাড সুগার রোগে নিয়মিত বেল ফল খেলে এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। বেলফল ঠাণ্ডা জলে ভিজিয়ে মিছরি সহকারে পান করলে লিভারের সমস্যা দূর হয়।বেলফল সরষের তেলের মিশ্রণে যদি কোনও ব্যথায় মালিশ করা হয় তবে খুব উপকার পাওয়া যায়।বেলের গুঁড়ো যদি ক্ষত স্থানে লাগানো হয় তাহলে খুব তাড়াতাড়ি উপশম হয়।বেলফল চিনির সঙ্গে সেবন করলে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়।