আমরা সময়ের কথা সময়ে বলি।

Advertisement

হাই কোর্টের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে শত বৎসরের মন্দিরের সম্পত্তি ভূমি অফিসের পেঠে

সারাদেশ 29 May 2019 ৭৬৮

লাকসাম।।

হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ উপেক্ষা করে লাকসামে জমিদার চন্দ্র কুমার রায় চৌধুরীর শত বছরের অধিক সময় থেকে চলাচলকারী বাড়ির রাস্তা বন্ধ করে দিয়ে লাকসাম পৌর এলাকা ভূমি অফিসের সীমানা প্রাচীর নির্মানের অভিযোগ উঠেছে। ভূমি সহকারী কর্মকর্তা নুরুল আলম ছিদ্দিকী ভূমি অফিসের মালিকানা দাবী করে এ প্রাচীর নির্মান করছেন বলে অভিযোগ করেন জমিদার চন্দ্র কুমার রায় চৌধুরীর বংশধর পার্থ রায় চৌধুরী।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, দেং ১০৪/৭৫ স্বত্ব ঘোষণা মোকদ্দমায় লাকসাম মৌজার সিএস ১৮ খতিয়ানের সাবেক ৬০৮দাগের পশ্চিমাংশে ৬০ ডিসিমেল ভূমিতে পার্থরায় চৌধুরীর দাদা চন্দ্র কুমার রায় জচৌধুরী ডিক্রি প্রাপ্ত হন। উক্ত রায় ডিক্রিমূলে এসএ খতিয়ান সংশোধন করার জন্য পার্থ রায় চৌধুরী অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) কুমিল্লা এর নিকট আবেদন করিলে সরকার এস এ খতিয়ান সংশোধন না করে রায় ডিক্রি প্রাপ্ত ভূমিকে সরকারী সম্পত্তি দাবী করে আদালতের রায় ডিক্রিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে ডিক্রিপ্রাপ্ত ভূমিতে থাকা শত বৎসরের পুরাতন দূর্গা মন্দিরের (১৯২৩) সম্মূখে পাকা তহসীল অফিস নির্মান কাজ শুরু করিলে পার্থ রায় চৌধুরী লাকসাম সহকারী জজ আদালতে দেং ৮৯/২০১৮ইং স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা আনায়ন করেন। নালিশী ভূমিতে বর্তমানে মহামান্য সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ সিভিল রিভিশন ১৩২৭/১৯ মোকাদ্দমায় স্থিতাবস্থার আদেশ দেন। তৎসত্বেও স্থানীয় প্রশাসন পার্থ রায় চৌধুরীর বাড়ির একমাত্র চলাচলের পথ বন্ধ করে নির্মান কাজ অব্যাহত রাখে। এ বিষয়ে পার্থ রায় চৌধুরী গত ২৭/৫/২০১৯ লাকসাম থানায় ৯৯৮ নং জিডি এন্ট্রি করেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ বন্ধ করে দিলে পরবর্তীতে লাকসাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) জোর পুর্বক নির্মান কাজ করে পার্থ রায় চৌধুরীর বাড়ীর জায়গা এবং চলাচলের একমাত্র পথ বন্ধ করে কার্যক্রম চালিয়ে যাইতেছে। সরকার যদিও দাবী করে যে নালিশী ভুমিতে টিনের ঘর ভেঙ্গে পাকাঘর করিতেছে তা সম্পূর্ন ভাবে মিথ্যা বলে জানা যায়। মূলত সরকারের টিনশেড ভূমি অফিস পাশ্ববর্তী হাল ২৬৯১ দাগের পূর্বাংশে অবস্থিত। জানা যায় আদালতের তদন্তেও পার্থ রায় চৌধুরীর পক্ষে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। এই রাস্তা তাদের দখলে আছে। দীর্ঘদিন থেকে রাস্তা এবং সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ থাকায় এ নিয়ে হাইকোর্টে মামলা বিচারাধিন রয়েছে। সরকারী ভূমি অফিসের আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জোরপূর্বক দূর্গামন্দির ও চলাচলের রাস্তায় স্থায়ী পাকাঘর নির্মানে জনমনে বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।