রিপন চৌধূরী।।
ডক্টর অবিনাশ চন্দ্র সেন, চুন্টার ঐতিহ্যবাহী সেন পরাবারে ১২৭৬ বাংলা ১লা অাশ্বিন জন্ম গ্রহন করেন। ১৯১৯ সালে অক্সফোড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অথনীতিতে ড. ডিগ্রী নেন। দানবীর অবিনাশ নামে অভিবক্ত ভারতে খ্যাতি ছিল। তিনি জাতীয় বনিক সমিতির ও ১৯৪০ সালে ত্রিপুরা হিতসাধনী সংঙ্গের প্রেসিডেন্ট নিবাচিত হন। তিনি ১৯২১ সালে “কৃষ্ণানন্দ দাতব্য চিকিৎসালয়” প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯২৬ সালে স্ত্রীর নামে, গিরিবালা বালিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি এম্পায়ার অব ইন্ডিয়া ইনসুরেন্স কোম্পানীর প্রতিষ্ঠা। ১৯২৩ সালে কুমিল্লা হাসপাতালে প্রথম এক্সরে মেশিন ও ওয়াড স্হাপন করেন। ১৯৪১ সালে চুন্টা এ, সি একাডেমির দায়িত্বভার গ্রহন করেন। তার পারিবারিক লাইব্রেরীর নাম ছিল “দুলভা লাইব্রেরী” তাতে মহামুল্যবান ও অনেক দূস্প্রাপ্য গ্রন্হ ছিল। ১৯৬৬ সালে পরিবারের অন্য সদস্যরা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পাবলিক লাইব্রেরীতে বইগুলি দান করেন। তার পত্নী গিরিবালা সেন ছিলেন দেশ বন্ধু চিত্তরঞ্জন দাস এর মেয়ে।তিনিও ছিলেন সমাজসেবী। বেশ কয়কটি চা বাগানের তিনি মালিক ছিলেন। তার ব্যবসা বানিজ্য ছিল কলকাতা কেন্দ্রীক, তাই অনেক কিছু অজানা। তারা ছিল অভিজাত পরিবারের সদ্স্য।
তার বাবা কৃষ্ণানন্দের অাভিজাত্যের দালান, বাড়ি, পুকুর অাজও স্মৃতি বহন করে অাসছে। ১৯৪১ সালে ঐ বাড়িতে অভিনাশ সেন একটি বাংলো তৈরি করেন, যাতে তার নাম আজও স্মৃতি বহন করছে।
[gs-fb-comments]Copyright © 2021 Amaderkatha | Design & Developed By: Design Ghor