আমরা সময়ের কথা সময়ে বলি।

Advertisement

ভৈরব এক শিক্ষার্থীকে মদ দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টার দুই পুলিশ প্রত্যাহার

বিশেষ প্রতিবেদন 4 June 2019 ৪৪১

কিশোরগঞ্জ।।

কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলায় এক শিক্ষার্থীকে মদ দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টার অভিযোগে পুলিশের দুই উপ-পরিদর্শককে (এসআই) প্রত্যাহার করা হয়েছে। পরে তাদের পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৪ জুন) বিকেলে কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) মাশরুকুর রহমান খালেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সকালে এ সংক্রান্ত ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্তটি কার্যকর করে জেলা পুলিশ।

প্রত্যাহার করা দুই এসআই হলেন- ভৈরব থানার এসআই আবুল খায়ের ও এসআই আজিজুল হক।

এরআগে ঘটনাটি অবগত হয়ে পুলিশ সুপার (এসপি) মাশরুকুর রহমান খালেদ সোমবার (৩ জুন) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মিজানুর রহমানকে প্রধান করে দুই সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করে দেন। তদন্ত কমিটি ওই দিনই সরেজমিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রাথমিকভাবে ওই দুই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পায় বলে জানা যায়।

স্থানীয় সূত্র জানায়, ভৈরবের শম্ভুপুর পাক্কারমাথা এলাকার সাব মিয়ার ছেলে শিক্ষার্থী সজিব শনিবার (১ জুন) দুই বন্ধুকে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে সে ভৈরব ঈদের কেনাকাটার জন্য বাজারে যায়। সেখান থেকে ফেরার পথে চান্দভান্ডার দরবার শরীফের সামনে সাদা পোশাকে পুলিশের দুইজন সদস্য সজিবকে আটক করে। এসময় তারা সজিবের গায়ে মদ ঢেলে দিয়ে তাকে মাদকবিক্রেতা সাজানোর চেষ্টা করেন।

একপর্যায়ে সজিব কৌশলে সেখান থেকে সটকে পড়ে পাক্কারমাথা এলাকায় চলে যায়। পুলিশ সদস্যরাও তার পিছু নেয়। পরে সজিবকে জোর করে ধরে নিয়ে যেতে চাইলে স্থানীয় লোকজন গিয়ে সাদা পোশাকধারী দুজনকে ধরে পিটুনি দেয়। এসময় এসআই আজিজুল হক ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হন।

খবর পেয়ে ভৈরব থানার এসআই মোখলেছুর রহমান রাসেল ও অভিজিৎসহ কয়েকজন পুলিশ সদস্য গিয়ে আবুল খায়েরকে উদ্ধার করেন। এসময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে চারজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। তারা হলেন- মোহাম্মদ আলী, মিজান মিয়া, ইয়াকুব ও রহিম মিয়া।

পরে রোববার (২ জুন) ভোরে সজিবের বাবা সাব মিয়াকেও আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। পরে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে ‘ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে’ মর্মে থানায় বিষয়টি মীমাংসা করা হয়। মীমাংসার পর আটক পাঁচজনকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।

পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ বলেন, অভিযুক্ত দুই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে সাদা পোশাকে চেকপোস্ট বসানো এবং মাদকের সিজার লিস্ট না করার অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এবিষয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তারা চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করলে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে