
ব্রাক্ষণবাড়িয়া।।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে কাজী মুরাদ(২৭) নামের এক স্কুল শিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। তিনি নবীনগর কনিকাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক ও উপজেলার রতনপুর শেখের পাড়ার কাজী আসাদ উল্লাহর ছেলে। এই ঘটনায় মঙ্গলবার সকালে ধর্ষিতা ওই স্কুল ছাত্রীর চাচা বাদী হয়ে হয়ে নবীনগর থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার এজহার সূত্রে জানা যায়, কনিকাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক কাজী মুরাদের কাছে প্রাইভেট পড়তেন একই স্কুলের নবম শ্রেনীর ওই ছাত্রী। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। বিষয়টি ওই ছাত্রীর পরিবারের সদস্যরা জানতে পেরে জিজ্ঞাস করলে ওই ছাত্রী অভিমান করে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। বাড়ি থেকে বের হয়ে গিয়ে মুঠোফোনে ইংরেজি শিক্ষক কাজী মুরাদকে ঘটনাটি জানালে সে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ওই ছাত্রীকে তার বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে শিক্ষক মুরাদ ওই স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। এদিকে পরিবারের সদস্যরা ওই স্কুল ছাত্রীকে বিভিন্ন জায়গায় খুঁজতে থাকে। ধর্ষণের পর ওই স্কুল ছাত্রী সোমবার রাতে নবীনগর সমবায় মার্কেটের সামনে রেখে পালানোর সময় স্থানীয়রা বিষয়টি আঁচ করতে পেরে শিক্ষক কাজী মুরাদকে আটক করে।
নবীনগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাজু আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আটক শিক্ষক কাজী মুরাদকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। ওই স্কুল ছাত্রীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে।