বরগুনা।।
বরগুনার চাঞ্চল্যকর রিফাত হত্যার প্রধান আসামি এবং মাদক ব্যবসা, মাদক সেবন ও ছিনতাইসহ নানা অপকর্মে যুক্ত থাকা নয়ন বন্ড পুলিশের সঙ্গে বন্ধুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) ভোর সোয়া ৪টার দিকে বরগুনা সদরের গুরিরচর ইউনিয়নের পুরাকাটা ফেরিঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মারুফ হোসেন নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মারুফ জানান, ঘটনাস্থল থেকে তিনটি চাপাতি, একটি পিস্তল ও তিন রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। নয়ন বন্ডের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার (২৬ জুন) আনুমানিক সকাল ১০-১১টার দিকে বরগুলা জেলার সদর এলাকায় অবস্থিত বরগুনা সরকারি কলেজের সামনের জনাকীর্ণ রাস্তায় এই ভয়াবহ হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে। এই ঘটনার ধারণকৃত একটি ভিডিও চিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে শুরু হয় তোলপাড়।
পরে নির্মম এ হত্যাকাণ্ডের নেপথ্য অনুসন্ধানে পাওয়া যায় চাঞ্চল্যকর তথ্য। প্রাপ্ত তথ্যেরভিত্তিতে জানা যায়, নব বিবাহিতা স্ত্রীর প্রেমিক দাবি করা উত্যক্তকারীর বিরুদ্ধে প্রতিবাদের জেরে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার হন রিফাত।
রিফাত হত্যার ঘটনায় তার স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা বলেন, নয়ন বিয়ের আগে থেকেই তাকে বিরক্ত করতো। এ বিষয়টি পরিবারকে জানানোর পর পরিবার রিফাত শরীফের সঙ্গে তার বিয়ে দেয়। বিয়ের পর সুখে শান্তিতে বসবাস করছিলেন তারা। এ ব্যাপারে আয়েশা বলেন, ‘রিফাত আমারে খুব ভালোবাসতো, আমিও তারে ভালবাসতাম। দুইজন দুইজনরে ছাড়া থাকতে পারতাম না।’
কিন্তু বিয়ের পরও আয়েশার পেছনে লাগা ছাড়েনি নয়ন। তাকে রাস্তাঘাটে বিভিন্নভাবে উত্যক্ত করতো নয়ন। বিষয়টি স্বামী রিফাতকে জানিয়েছিলেন আয়েশা। তিনি বলেন, ‘নয়ন আমারে ডিস্টার্ব করতো। আমি রিফাতকে জানিয়েছিলাম।’
এ সময় রিফাত হত্যার বর্ণনা দিয়ে আয়েশা জানান তিনি সবার কাছে সাহায্য চাইলেও সবাই দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে বিষয়টি দেখে। কেউ তাকে সাহায্য করার জন্য এগিয়ে আসেনি। আয়েশা বলেন, ‘আমি অনেক চেষ্টা করছি, আপ্রাণ চেষ্টা করছি, সবাইকে ডাকছি, চিৎকার করছি, কেউ সাহায্য করেনি।
[gs-fb-comments]Copyright © 2023 Amaderkatha | Design & Developed By: Design Ghor