ভুয়া সাকসেশন সার্টিফিকেট তৈরি করে ব্যাংক থেকে টাকা তোলার সময় তাদের গ্রেফতার করা হয়।
আটকরা হলেন শিক্ষানবিশ আইনজীবি মেহেদী হাসান ও আদালতের স্ট্রেনোগ্রাফার ফকরুল ইসলাম। সোমবার সন্ধ্যায় এ বিষয়ে মামলা হওয়ার পর পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতার দেখিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠায়। আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে পাঁচদিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে।
মামলার আইনজীবি অ্যাডভোকেট মাহামুদ হোসেন জানান, বাঞ্ছারামপুরের মরিচাকান্দি গ্রামের রফিকুল ইসলামের স্ত্রী নার্গিস আক্তার স্বামীর ব্যাংক হিসেবের ১২ লাখ ১৫ হাজার ৭৪০ টাকা তোলার জন্য এ বছরের ২ এপ্রিল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতে সাকসেশন সার্টিফিকেট মামলা দায়ের করেন। পরে শিক্ষানবিশ আইনজীবি মেহেদী হাসান ও আদালতের স্ট্রেনোগ্রাফার ফকরুল তার কাছ থেকে টাকা নিয়ে একটি ভুয়া সাকসেশন সার্টিফিকেট তৈরি করে দেন। তাদের দেয়া সাকসেশন সার্টিফিকেট এর কপি নিয়ে প্রয়াত স্বামীর ব্যাংক একাউন্ট থেকে টাকা তুলতে ব্যাংকে যান নার্গিস আক্তার। এ সময় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বিষয়টি ভুয়া বলে অবিহিত করেন। পরে বিষয়টি নার্গিস তার আইনজীবিকে জানানোর পর প্রতারণার বিষয়টি সামনে আসে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ওসি মো. সেলিম উদ্দিন বলেন, সোমবার সন্ধ্যায় নার্গিস আক্তার দুই প্রতারকের বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থানায় মামলা করেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদেরকে কোর্টের ভুয়া সিলসহ গ্রেফতার করে।
[gs-fb-comments]Copyright © 2022 Amaderkatha | Design & Developed By: Design Ghor