আমরা সময়ের কথা সময়ে বলি।

Advertisement

রবিবার কামিকা একাদশী

সারাদেশ 27 July 2019 ৬৮৩

আগামীকাল ২৮/০৭/২০১৯ রোজ রবিবার কামিকা একাদশীর উপবাস
পারনের সময়ঃ পরের দিন সোমবার সকাল ০৫.২৩ হইতে ০৯.৪৭ মিনিটের মধ্যে।

কামিকা একাদশীর মাহাত্ম্য

শ্রাবণ মাসের কৃষ্ণপক্ষীয় তিথিতে যে একাদশী পালন করা হয় সেই একাদশীর নাম কামিকা একাদশী। এই একাদশীর ব্রত মাহাত্ম্য ব্রক্ষ্মবৈবর্ত পুরাণে খুব সুন্দর করে বর্ণনা করা রয়েছে। আর সেখান থেকেই আপনাদের কাছে শেয়ার করছি।

এই ব্রত সম্পর্কে জানবার জন্য মহারাজ যুধিষ্ঠির শ্রীকৃষ্ণের কাছে জানতে চেয়ে বলেছিলেন – হে বাসুদেব! শ্রাবণ মাসের কৃষ্ণপক্ষীয় তিথিতে যে একাদশী পালন করা হয় সেই একাদশীর নাম কি এবং এ একাদশীর মাহাত্ম্যইবা কি? কৃপা করে সবিস্তারে আলোচনা করুণ।

উত্তরে শ্রীকৃষ্ণ বল্লেন – হে রাজন! আপনার পূর্বেই এই বিষয়ে দেবর্ষি নারদ প্রজাপতি ব্রক্ষ্মার কাছ থেকে সবিস্তারে জ্ঞাত হয়েছেন। আমি আপনাকে প্রজাপতি ব্রক্ষ্মা যেমন করে বলেছিলেন তেমন করেই পূনরায় বলছি, আপনি মনোযোগ সহকারে শ্রবণ করূণ।

একদা এক সময়ে নারদ ব্রক্ষ্মার কাছে জানতে চেয়ে বলেছিলেন – হে ঈশ্বর! শ্রাবণ মাসের কৃষ্ণপক্ষ তিথিতে যে একাদশী পালন করা হয় এই একাদশীর নাম কি, এই একাদশী পালনের মাহাত্ম্যই বা কি, এই একাদশীর আরাদ্ধ দেবতা কে, এই একাদশী পালনে কি ফল লাভ হয়? কৃপা করে এই সকল বিষয় সবিস্তারে বর্ণনা করে জ্ঞাত করুণ।

উত্তরে ব্রক্ষ্মা বল্লেন – হে বৎস! তুমি যে প্রশ্ন করেছো সেটা দ্বারা মনুষ্য জাতি অনেক উপকৃত হবেন। আর সেটার জন্য আমি সবিস্তারে বর্ণনা করছি, তুমি মনস্তির করে শ্রবণ করো।

তুমি যে একাদশীর কথা শ্রবণ করতে ইচ্ছা পোষণ করছো সেই একাদশী ‘কামিকা’ নামে জগতে প্রসিদ্ধ। এই একাদশী পালনে সকল পাপ মোছন হয়ে যাই। এছাড়াও এই একাদশী পালনে বাজপেয় যজ্ঞের ফল লাভ প্রাপ্ত হয়। ভগবান শ্রীহরি এই একাদশীর দেবতা বলে গন্য করা হয়। যে সকল ব্যাক্তি পাপের জন্য মহা সাগরে ডুবে থাকেন তারা ভক্তি ভরে এই ব্রত পালনের মাদ্ধমে সকল পাপ থেকে মুক্তি পেয়ে থাকেন। যে সকল ব্যাক্তিরা এই ব্রত পালনের সময় রাত্রী জাগরণের মাধ্যমে ঈশ্বরের কাছে যাই চাওয়া হোক না কেনো সেটাই ঈশ্বর তাকে প্রদান করে থাকেন। যে ব্যাক্তি তুলসীপত্র দ্বারা পূজা করে থাকেন তাদের সকল পাপ দূর হয়ে থাকে।
তুলসী প্রসঙ্গে ব্রক্ষ্মা আরো বল্লেন – যে ব্যাক্তি প্রতি দিন তুলসী পত্র দর্শন করে থাকেন তার সকল পাপ বিদুরিত হয়ে যাই। যে ব্যাক্তি তুলসী পত্রকে স্পর্শ করেন তার পাপ মলিন দেহ পবিত্র হয়ে যাই। তুলসী গাছে প্রনাম করলে দেহের সকল রোগ দূর হয়। যে ব্যাক্তি হরিবাসরে ঈশ্বরের সামনে প্রদীপ জ্বালান তার পূণ্যের হিসাব চিত্রগুপ্তও রাখতে পারেন না। এই পূণ্য লাভে তার পূর্বপুরুষেরাও পাপ থেকে মুক্ত হয়ে সর্গবাসি হয়ে থাকেন। এই কামিকা একাদশী ব্রত মাহাত্ম্য যে ব্যাক্তি পাঠ করেন কিংবা শ্রবণ করেন তাদের উভয়েরই সর্ব পাপ দূর হয় এবং স্বর্গ বাসি হয়ে থাকেন।