
নবীনগর।।
নবীনগর উপজেলার জিনদপুর ইউনিয়নের কড়ইবাড়ির উত্তর পাড়ার যুবকদের মানবিকতার বিমুগ্ধ না হয়ে পাড়লাম না!
ধর্ম বর্ণ গোত্র নিয়ে এখনো আমাদের সমাজে,দেশে বাড়াবাড়ি করার লোকের অভাব নেই।<br>
আমরা যারা এই দেশের ভিন্ন ভিন্ন ধর্মের মানুষের একতার কথা বলি, আমরা যারা এই দেশে অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক ধারা প্রতিষ্ঠা করে দলমতের ঊর্ধ্বে উঠে বাঙালি জাতীয়তাবাদের স্বপ্ন দেখি সেই বাংলাদেশের সূর্য সন্তান হইলি তোরা।
তোরা আজ যা করতে চাইছিস সেটাই তো আমাদের স্বপ্ন।
আমরা যারা সমাজের এই প্রান্তে চলে এসেছি মানবিক সমাজ চাই,অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের বাংলাদেশ চাই,বলতে বলতে ক্লান্ত হয়ে যাচ্ছি তাদের সামনে তোদের এই জেগে ওঠা তারুণ্যের জয়গান দেখবো বলেই তো চেয়েছিলাম।
তোদের চেতনায় আজ আমি একজন গণমাধ্যম কর্মী হিসেবে উদ্ভাসিত,আনন্দিত,প্রফুল্লিত!
একজন হিন্দু যুবক(টুটন চন্দ্র দাস) কয়েকমাস ধরে ফুসফুসে ক্যান্সার নিয়ে বেঁচে থাকার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।
অর্থ সংকটে ঠিকমতো চিকিৎসা করতে হিমশিম খাচ্ছে সে।
বেচারা দিন দিন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে চলে যাচ্ছে টাকার জন্য।
আর আজ তোরা কি করলি ?
সেই ভেঙে পড়া টুটন চন্দ্র দাসকে বেঁচে থাকার সাহস দিতে অর্থের জন্য তোরা আজ মানুষের ধারে ধারে।
জানিনা বিধাতা টুটনের ভাগ্যে কি লিখে রেখেছেন ?
তবে বিশ্বাস করি এই মুহূর্তে তোদের মানবিকতা দেখে নিশ্চয়ই তার মনোবল চাঙ্গা হয়ে উঠেছে।
তোরা যে হিন্দু মুসলিম ভেদাভেদ ভুলে সাম্যের শুভ সূচনা করলি এটাই আরেকটা চিকিৎসা এই গুনে ধরা সমাজ ব্যবস্থার।
সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করি তিনি যেন তোদের এই সামান্য প্রচেষ্টায় তাকে সুস্থ করে দেয়।
সমাজের বিত্তবানদের চোখ যেন খোলে যায় তারাও যেন তোদের পাশে দাঁড়ায় টুটনকে সাহায্য করবে বলে।