
ব্রাক্ষনবাড়িয়া।।
আগামী ১৪ই অক্টোবর নবীনগর পৌরসভার নির্বাচন। বিএনপি’র দলীয় প্রার্থী থাকার পরও আরো তিনজন প্রার্থী ‘মেয়র’ পদে নির্বাচন করছেন। বিএনপি’র সহ-সভাপতি ও বর্তমান মেয়র মাইনউদ্দিন ও বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাবেক পৌর মেয়র মো. মলাই মিয়া, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ছাত্রদল নেতা ফারুক আহমেদ মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন। জানা গেছে, ১৯৯৯ সালে গঠিত নবীনগর পৌরসভায় ২০০৩ সালের জানুয়ারি থেকে ২০০৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত নবীনগর থানা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মো. মলাই মিয়া পৌর প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ২০১৪ সালের অক্টোবরে নবীনগর পৌরসভার প্রথম নির্বাচনে নবীনগর থানা বিএনপি’র সহ-সভাপতি বর্তমান মেয়র মোহাম্মদ মাঈনউদ্দিন মাইনু মেয়র নির্বাচিত হন। কিন্তু এবারের পৌর নির্বাচনে বিএনপি থেকে ধানের শীষ প্রতীকে দলীয় মনোনয়ন দেয়া হয় নবীনগর পৌর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক ধনাঢ্য ব্যবসায়ী হাজী মো. শাহাবুদ্দিনকে। এ অবস্থায় বিএনপি নেতা বর্তমান মেয়র মাইনু বিক্ষুব্ধ হয়ে বিএনপি থেকে পদত্যাগ করে ‘মোবাইল’ প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। অন্যদিকে নবীনগর থানা বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর প্রশাসক মো. মলাই মিয়াও এবার ‘জগ’ প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন।
পাশাপাশি নবীনগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ছাত্রদল নেতা ফারুক আহমেদ ‘নারিকেল গাছ’ প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। এ অবস্থায় বিএনপি এবারের নির্বাচনে মেয়র পদটি শেষ পর্যন্ত তাদের দখলে ধরে রাখতে পারবেন কিনা; সেটি নিয়ে খোদ বিএনপিসহ স্থানীয় বিভিন্ন মহলে এখন আলোচনা হচ্ছে। বিএনপি সমর্থিত একাধিক স্থানীয় সাধারণ ভোটাররা জানান, বিএনপি’র তিন স্বতন্ত্র প্রার্থীর কারণে এবার ধানের শীষের ব্যাপক ক্ষতি হবে। তাই সম্মিলিতভাবে বিএনপি’র একজন প্রার্থী হলে বিএনপি’র বিজয় শতভাগ সুনিশ্চিত হতো। বিএনপি’র তিন প্রার্থীকে এক করতে বিএনপি’র উদ্যোগ নিয়ে ও আলোচনা সমালোচনা হচ্ছে। ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী মো. শাহাবুদ্দিন বলেন, নবীনগর হলো বিএনপি’র ঘাঁটি। সুতরাং প্রার্থী যতই থাকুক, ভোটাররা ধানের শীষ প্রতীক দেখেই ভোট দেবেন। সুতরাং নির্বাচনে বিএনপি’র বিজয় সুনিশ্চিত। উপজেলা বিএনপি’র সদ্য পদত্যাগকারী সহ-সভাপতি ও নবীনগর পৌরসভার বর্তমান মেয়র মোহাম্মদ মাঈন উদ্দিন মাইনু বলেন, এটি পৌরসভা নির্বাচন। এখানে ব্যক্তির আচার-আচরণ তথা ইমেজটাই বড় বিষয়। পাঁচবছরে আমি যে পরিমাণ কাজ করেছি; আশা করি ভোটাররা এবারও তার মূল্যায়ন করে আমাকে আবারো বিজয়ী করবেন। নবীনগর পৌরসভার সাবেক পৌর প্রশাসক ও উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. মলাই মিয়া বলেন, এটিই আমার শেষ নির্বাচন। পৌরসভার শুরুতে প্রশাসক হিসেবে ছয়বছর যে পরিমাণ উন্নয়নমূলক কাজ করেছি আশা করছি এসব কাজের মূল্যায়ন করে জনগণ তাদের সেবা করার সুযোগ দিবেন। এদিকে আরেক প্রার্থী স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা ফারুক আহমেদও মেয়র পদে তার জয়ের ব্যাপারে শতভাগ নিশ্চিত বলে জানান। তবে বিএনপি ঘরানার এই চার প্রার্থীই পৌরসভা নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে বলে অভিমত প্রকাশ করেছেন। উল্লেখ্য, এবারই প্রথম ইভিএম পদ্ধতিতে নবীনগর পৌরসভা নির্বাচনে ৩৬ হাজার ৭শ’ ৬৪ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।