
ব্রাক্ষনবাড়িয়া।।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের দক্ষিণ পৈরতলায় কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে চাঁদা না দেওয়ায় এক পরিবহন শ্রমিককে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর প্রতিবাদে এক ঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে বিক্ষুব্ধ পরিবহন শ্রমিকরা।বুধবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত এই অবরোধ কর্মসূচি চলে। অবরোধ চলকালে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের দুই পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।আন্দোলনরত পরিবহন শ্রমিক হেলাল মিয়া জানান, মহাসড়কে দায়িত্বে থাকা ট্রাফিক সার্জেন্টরা প্রায়ই চাঁদার দাবিতে পরিবহন শ্রমিকদের হামলা ও নির্যাতন করে। আজ দুপুরে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের দক্ষিণ পৈরতলা এলাকায় দিগন্ত লোকাল বাসের চালক মো. সাদেক মিয়াকে চাঁদার দাবিতে মারধর করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহর ট্রাফিক বিভাগের সার্জেন্ট ফজলে রাব্বী। এ খবর ছড়িয়ে পরার পর সার্জেন্টের বিচার এবং অপসারনের দাবিতে পরিবহন শ্রমিকরা যানবাহন এলোপাতাড়ি করে রেখ শহরের ঘাটুরা এবং কাউতলী এলাকায় ব্যারিকেড সৃষ্টি করে।ব্রাহ্মণবাড়িয়া পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘প্রায়ই আমাদের শ্রমিকদের ওপর হামলা, নির্যাতন চালায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া ট্রাফিক বিভাগের সার্জেন্ট বা কর্মকর্তারা। আমরা তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ। অবিলম্বে দোষী ট্রাফিক কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করতে হবে।’এদিকে মহাসড়কের দুই পাশে কয়েক কিলোমিটার এলাকায় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহর ট্রাফিক বিভাগের কর্মকর্তা এবং সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে।ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সেলিম উদ্দিন বলেন, ‘বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার সময় পরিবহন শ্রমিক ও জেলা ট্রাফিক বিভাগের সঙ্গে যৌথ বৈঠক ডাকা হয়েছে। বিষয়টি শান্তিপূর্ণভাবে সুরাহা করা হবে। এবিষয়টি আন্দোলনরত শ্রমিকদের জানানোর পর তারা মহাসড়ক থেকে ব্যারিকেড তুলে নেয়।’এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহর ট্রাফিক বিভাগের টিআই (ট্রাফিক ইন্সপেক্টর) মো. নূর বলেন, ‘আমাদের সাথে শ্রমিক ভাইদের ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। আমরা দোষী সার্জেন্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো।’