
নবীনগর।।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে গত দুই মাসে আট লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ছাড়া একটি ধর্ষণ, একটি নারী নির্যাতন, বাবাকে মারতে গিয়ে ছেলের কারাদণ্ড ও একটি রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে এলাকায় ব্যাপক উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বছরের প্রথম দিনে এক হাজার টাকার দেনা পাওনাকে কেন্দ্র করে পৌর এলাকার জাহিদুল ইসলাম সানি নামে একজন খুন হয়। ৩ ফেব্রুয়ারি সলিমগঞ্জ বালিকা বিদ্যালয়ে তোরণ ভেঙে ঘটনাস্থলে মারা যায় খোরশেদ মিয়া। ১৪ ফেব্রুয়ারি ছেলে দায়ের কোপে খুন হন অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য আলমগীর হোসেন। ২৪ ফেব্রুয়ারি সলিমগঞ্জ জান্নাতুল ফেরদৌস মহিলা মাদরাসা থেকে এক ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ৪ জানুয়ারি পারিবারিক কলহে আত্মহত্যা করে পৌর এলাকার বাবুল মিয়ার স্ত্রী রৌশনারা বেগম ও শাাহবাজপুরের খোকন মিয়ার স্ত্রী ছালেহা বেগম। ১২ জানুয়ারি জল্লা গ্রামে জর্মিনা বেগম ও ২৬ ফেব্রুয়ারি নরসিংহপুরে এক স্কুলছাত্রী গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। ৮ জানুয়ারি নবীনগর কলেজ পাড়ায় ৭ বছরের শিশুকে কেক খাওয়ানোর কথা বলে ধর্ষণ করে এক বখাটে। ১৩ জানুয়ারি শ্যামগ্রামে কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এক গৃহবধূকে উলঙ্গ করে শারীরিক নির্যাতন করে এলাকার এক প্রভাবশালী পরিবার। ১০ ফেব্রুয়ারি বাইশ মৌজায় গরুর বাজারের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কৃষ্ণনগরে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে পুলিশসহ ১০ জন আহত, ৩০টি বাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ ২৮ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ২৭ ফেব্রুয়ারি আলমনগর গ্রামে আমির হোসেনকে তার ছেলে সাইদুর রহমান মারতে আসলে আশপাশের লোকজন ছেলেকে আটক করে। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত ছেলেকে তিন মাসের কারাদণ্ড দেন।
উপজেলা চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মনির বলেন, প্রতিটি ঘটনাই দুঃখজনক। এসব ঘটনা পারিবারিক ও সামাজিক কলহের কারণে ঘটেছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও হাট-বাজারে পথসভার মাধ্যমে জনসচেতনতা সৃষ্টিসহ প্রশাসনকে আরো কঠোরভাবে কাজ করতে হবে।
নবীনগর থানার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মকবুল হোসেন বলেন, সম্প্রতি যে সব ঘটনা ঘটেছে তা অপ্রত্যাশিত। পুলিশের পাশাপাশি জনগণকে সচেতন হবে। দাঙ্গা, মাদক ও আত্মহত্যার প্রবণতা কমাতে জনসচেতনতামূলক বিভিন্ন পদক্ষেপ হাতে নেয়া হয়েছে।