
ব্রাক্ষনবাড়িয়া।।
এক গর্ভবতী মহিলাকে চেম্বার থেকে ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয় এবং অশালীন, অসৌজন্যমূলক আচরণ করে,গাইনী বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ফৌজিয়া আক্তার৷ আজ রবিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবিনগর উপজেলার কুড়িঘর গ্রামের মাওলানা জুনায়েদ আহমদ ওনার গর্ভবতী স্ত্রীকে নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া হলিল্যাব হসপিটালে যান৷ সিরিয়াল অনুযায়ী যখন ওনার স্ত্রী চেম্বারে প্রবেশ করেন,ডাক্তার বোরকা পরিহিতা মহিলা দেখে কটাক্ষের ভাষায় বলেন, আপনার স্বামী কি হুজুর ?? উনি বলেন জ্বী। তখন ডাক্তার বলেন, তাহলে তো আপনার স্বামী আনসারী হুজুরের জানাযায় গিয়েছে। উনি বলেন আমার স্বামি এলাকায় খেদমত করেন। জানাযার নামাজে যাননি। তখন ডাক্তার উচ্চকণ্ঠে বলেন, মিথ্যা বলেন আমার সাথে ?? বের হোন আমার চেম্বার থেকে! এরপর উনার সহকারী কেউ এসে ধাক্কা দিয়ে বের করে দেন। হসপিটাল কতৃপক্ষকে বলে দেন,কোনো হুজুরকে যেন হসপিটালে ঢুকতে না দেয়া হয়। সব হুজুর নাকি করোনায় আক্রান্ত৷ [কীভাবে একজন ডাক্তার এই কাজটুকু করতে পারলেন? ডাক্তার তো এত অমানবিক হওয়ার কথা না। ] এরপর উনি ওনার স্বামীকে নিয়ে হসপিটাল থেকে চলে আসেন।দেশের এই পরিস্থিতিতে আর ডাক্তার না পেয়ে চিকিৎসা না নিয়েই বাড়ি ফিরে আসেন৷ এমন অমানবিক আচরন অত্যন্ত দুঃখজনক! আমরা এর তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানায় ব্রাক্ষষণবাড়িয়া বাসী।