
আখাউড়া।।
পরিবহন সিন্ডিকেট ও চাঁদাবাজির ঘটনায় আখাউড়া স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি ব্যাহত। গতকাল মঙ্গলবার ১৯ অক্টোবর দুপুর থেকে বন্দরে এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।
চলমান অবস্থা অব্যাহত থাকলে বন্দরের বাণিজ্য কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বন্দরে আসা ট্রাক থেকে চাঁদা আদায়ের বিষয়ে গত ৭ অক্টোবর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ট্রাক মালিক গ্রুপ লিখিত অভিযোগ দায়ের করে জেলা প্রশাসকের বরাবর। এতে এক সপ্তাহের মধ্যে সমস্যার সমাধান না হলে ১৮ অক্টোবর থেকে জেলার কোনো ট্রাক দিয়ে এ বন্দরের পণ্য পরিবহন করা হবে না বলে জানানো হয়। এমনকি অন্য জেলার ট্রাকও আসতে দেওয়া হবে না বলে ঘোষণা আসে। পাশাপাশি বন্দরে গড়ে ওঠা পরিবহন সিন্ডিকেট নিয়েও দেখা দেয় উত্তেজনা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়ন সমিতির সাধারণ সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন খোকন বলেন, ‘এ বন্দরে ট্রাক নিয়ে এলে প্রভাবশালীদেরকে টাকা দিতে হয়। এমনকি চাঁদা না দেওয়ায় আমাদের কয়েকজন চালককে মারধর করা হয়। বিষয়টির কোনো সুরাহা না হওয়ায় সোমবার সন্ধ্যায় আমরা জেলার কোনো ট্রাক দিয়ে পণ্য পরিবহন করব না বলে জানিয়ে দেই।’
জেলা ট্রাক মালিক গ্রুপ সভাপতি হাজি মো. মহসীন বলেন, ‘চাঁদা না দিলে আমাদের চালকদের মারধর করা হয়। ট্রাক ভাড়া নিয়েও টালবাহানা করা হয়। এ কারণে পণ্য পরিবহন বন্ধ রাখার চিন্তা করা হয়। বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে কয়েকজন আখাউড়ায় যান।’
আখাউড়া স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আখাউড়া বন্দর দিয়ে পণ্য পরিবহনে যেসব ট্রাক ব্যবহার করা হয় এসবের বেশিরভাগই ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার অভ্যন্তরের। এখন যদি তারা ট্রাক না দেন তাহলে বাণিজ্য কার্যক্রম এক প্রকার বন্ধ হয়ে যাবে। কেননা, অন্য জায়গা থেকে ট্রাক ভাড়া করে এনে ভাড়া দিয়ে পোষাবে না।’
গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে কোনো ট্রাক আসতে দেওয়া হচ্ছে না।’
আখাউড়া উপজেলা শ্রমিক লীগ সভাপতি ইবনে মাসুদ লাকসু বন্দরে চাঁদাবাজির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘বন্দরে পণ্য পরিবহনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ট্রাককে অগ্রাধিকার দেওয়া আছে। এখানে কোনো সিন্ডিকেট নেই। প্রতি ট্রাকে ৫০ টাকা হারে চাঁদা আদায় বন্ধ করে দেওয়ায় ট্রাক মালিকরা মিথ্যা অভিযোগ করেছেন।’