আমরা সময়ের কথা সময়ে বলি।

Advertisement

দীপাবলি উদযাপন করার সাত কারন

সারাদেশ 4 November 2021 ২৮৭

রিপন চৌধূরী।।

রামের অযোধ্যায় প্রত্যাবর্তন– উত্তর ভারতের অধিকাংশ স্থানে, প্রভু শ্রীরামের জয়যুক্ত হয়ে নিজের রাজ্যে প্রত্যাবর্তনকে দীপাবলি উদযাপনের মাধ্যমে পালন করা হয়ে থাকে। এই দিনে অযোধ্যাবাসী দীপাবলিতে তাদের বিজয়ী রাজাকে স্বাগত জানাতে প্রদীপ প্রজ্বলিত করেছিলেন। এই রীতি পরম্পরা ক্রমে এখনো চলছে।
লক্ষ্মী পূজা– দীপাবলীতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি আচার, লক্ষ্মী ও গণেশ পূজা। এই পূজা বছরের সবচেয়ে অন্ধকার রাত অর্থাৎ, আশ্বিন মাসের অমাবস্যায় সম্পন্ন হয়ে থাকে। ঘর-বাড়ি ভালোভাবে পরিষ্কার করে, প্রদীপ জ্বালানো হয় এবং আল্পনা আঁকা হয়। প্রদীপের আলোর ঝরনার মাঝে রাতে লক্ষ্মী পূজা করা হয়।
নববর্ষ– ভারতীয় ব্যবসায়ীদের জন্য, দীপাবলি নতুন আর্থিক বছর প্রারম্ভকে বোঝায়। তারা এই দিনে তাদের গত বছরের হিসাবের খাতা বন্ধ করে নতুন বছরের হিসাবের খাতা খোলেন। যেহেতু, দীপাবলি হিন্দু নব বর্ষকে সূচিত করে, তাই অনেকেই এই সময়ে নিজেদের ঘর-বাড়ি মেরামত করিয়ে নতুন করে রঙ করান।
কালী পূজা– দীপাবলির রাতে, বাংলা, উড়িষ্যা ও বিহারের কিছু অংশে মহাকালী বা নিশি পূজা করা হয়ে থাকে। এটি সম্ভবত সেই দিন, যেদিন পার্বতী তার কালী অবতার গ্রহণ করেন এবং অসুরদের মুণ্ডচ্ছেদ করতে শুরু করেন। কালী পূজা গভীর রাতে শুরু হয় এবং ঊষা লগ্নের প্রাক্কালে সম্পন্ন হয়।
গুরু নানক– কেবলমাত্র হিন্দুরাই নয়, শিখরা ও দীপাবলি উদযাপন করে। এর কারণ হল, এই দিনে শিখদের ষষ্ঠ গুরু, গুরু হরগোবিন্দ জি আরো ৬২ জন রাজার সাথে কারাগার থেকে মুক্তি লাভ করেছিলেন। কারারুদ্ধ অবস্থা থেকে মুক্তি পেয়ে তিনি স্বর্ণ মন্দির দর্শন করেন। অমৃতসরের সকল মানুষের বাতি ও প্রদীপ জ্বালিয়ে তাঁকে স্বাগত জানিয়েছিল।
প্রভু মহাবীর– অনেকে মনে করেন, ১৫ই অক্টোবর অর্থাৎ যখন আমরা দীপাবলি উদযাপন করে থাকি তার কাছাকাছি সময়ে প্রভু মহাবীর তার মোক্ষ বা নির্বাণ লাভ করেছিলেন।
আশার আলো– দীপাবলির একটি গভীরতম আধ্যাত্মিক মর্ম এর থেকেও আসে যে এটি বছরের সবচেয়ে অন্ধকারতম রাত। তাই অজ্ঞানতা ও নিরাশার অন্ধকারকে দূরীভূত করতে মানুষ দীপাবলির রাতে প্রদীপ জ্বালায় এবং অশুভ শক্তিকে নিবৃত্ত করতে আতস বাজিও পোড়ায়। শুভ দীপাবলি।