
ব্রাক্ষণবাড়িয়া।।
দীর্ঘ ৮মাসপর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার রেলস্টেশনে যাত্রা বিরতি আজ শনিবার ১৩ নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছে। ঢাকা থেকে ছেরে আসা সিলেটগামী আন্তঃনগর জয়ন্তীকা এক্সপ্রেসের যাত্রাবিরতির মধ্যে দিয়ে স্টেশনে ট্রেনের পুনরায় যাত্রাবিরতি শুরু হয়। এ উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনের এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সদর-বিজয়নগর আসনের সংসদ সদস্য র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার,কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা আল আমিনুল হক, শহর আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, জেলা যুবলীগ সভাপতি শাহানুর ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল, সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত শোভন, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি লোকমান হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সায়েদুজ্জামান আরিফ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিশিষ্ট আবৃত্তি শিল্পী মনির হোসেন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরোধীতায় গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক তাণ্ডব চালায় হেফাজত ইসলামের কর্মী-সমর্থকরা। আন্দোলনের প্রথম দিনে বিভিন্ন স্থাপনার পাশাপাশি রেলওয়ে স্টেশনটিতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। স্টেশন মাস্টারের কক্ষ, টিকিট কাউন্টার ও নিয়ন্ত্রণ কক্ষসহ অন্যান্য কক্ষগুলো আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। সিগন্যালিং সিস্টেম পুরোপুরি ধ্বংস করে ফেলায় ২৭ মার্চ থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে সকল ট্রেনের নির্ধারিত যাত্রাবিরতি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এতে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েন এখানকার রেলযাত্রীরা। এরআগে ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সিলেট ও ঢাকা-নোয়াখালী রুটে চলাচলকারী ৭টি আন্তঃনগর, ৭টি মেইল ও লোকাল ট্রেন যাত্রাবিরতি করত স্টেশনটিতে। এসব ট্রেনে প্রতিদিন ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন থেকে ২ হাজারের বেশী যাত্রী বিভিন্ন গন্তব্যে যাতায়াত করতেন। মাসে সরকারের রাজস্ব আয় হতো প্রায় অর্ধ কোটি টাকা।