আমরা সময়ের কথা সময়ে বলি।

Advertisement

সরাইল সরকারি হাসপাতালে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ

সরাইল 9 December 2021 ২১৯

সরাইল।।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে টয়লেটগুলো ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ভাঙা বেসিন, মেঝেতে জমা পানি ও কাদা, ভাঙা দরজা, অপর্যাপ্ত পানি সরবরাহ ও সংস্কারের অভাবে উৎকট গন্ধে টয়লেটগুলোতে রোগীরা যেতে পারছেন না। এ ছাড়া সেগুলোকে স্বাস্থ্যসম্মত ও পরিবেশবান্ধব বলা হলেও নেই স্যান্ডেল, পানি সরবরাহ, টয়লেট টিস্যু ও হ্যান্ডওয়াশ। মেরামতের অভাবে বিকল হয়ে রয়েছে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহকৃত পানির কলগুলোও।
সরেজমিন পরিদর্শনকালে দেখা গেছে টয়লেটটের প্রবেশপথ ময়লা পানি দুর্গন্ধে সামনে যাওয়া দায়। বাথরুমে একটা বদনাও নেই। বাথরুম করার পর পানি খরচের জন্য হাতের কাছে পানির কলও নেই।
প্রাকৃতিক কার্যক্রম সম্পাদনের পর পানির জন্য উঠে দাঁড়িয়ে সামনে এগিয়ে পানি নিতে হয়। ফলে টয়লেটে ঢুকে দর্শনার্থীদের বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়। টয়লেটের বেহাল দশার কারণে অনেক দর্শনার্থী বিশেষ করে মহিলারা ঘণ্টার পর ঘণ্টা প্রসাব পায়খানা না করে থাকতে বাধ্য হন।
এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে সকল ওয়ার্ডের রোগী সাথে অপেক্ষমান নারী বলেন, দয়া করে হাসপাতালের টয়লেটটির বেহাল দশা সম্পর্কে কিছু লিখুন। রোগীর স্বজনদের অনেকেই এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।রোগীর স্বজনরা বলেন, এ সময় হালকা শীতের মধ্যে ডায়রিয়া রোগী নিয়ে তারা এমনিতেই মানসিকভাবে বিপর্যস্ত থাকেন। নাওয়া খাওয়া ভুলে অপেক্ষা করেন। এ সময় তাদের অনেকেরই টয়লেটে যাওয়ার প্রয়োজন হলেও বেহাল অবস্থার কারণে যেতে পারেন না। তিনি বলেন, রোগীর সুচিকিৎসার স্বার্থে এসব ধকলও মেনে নেন। কিন্তু বাথরুম চাপলেই দুশ্চিন্তায় পড়ে যান। সামনে গেলেই দুর্গন্ধে বমি আসে। ফলে অনেক সময় বাথরুম দীর্ঘ সময় আটকে রেখে হাসপাতালের অন্যত্র গিয়ে বাথরুম সারেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন রোগীর অভিভাবক বলেন, হাসপাতালের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দুই একদিন এ বাথরুম ব্যবহার করা উচিত। তবেই তারা সমস্যাটি উপলব্দি করতে পারবেন। সরাইল সরকারি হাসপাতালে রোগীদের স্বজনদের ব্যবহারের জন্য একটি মোটামুটি মানের টয়লেট থাকবে না তা কিছুতেই মেনে নেয়া যায় না বলে।
জাহানারা বেগম নামে এক গৃহিনী জানান নোংরা, দুর্গন্ধযুক্ত টয়লেট অধিকাংশ নারীরা ব্যবহার করেন না। বাধ্য হয়ে হাসপাতালে টয়লেট ব্যবহারে তারা বাধ্য হন। তিনি অভিযোগ করেন, এসব টয়লেটগুলো যারা রক্ষণাবেক্ষণ করেন তারা সঠিকভাবে পরিষ্কার করেন না।এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নোমান মিয়া জানান, যাদের কাজ করার কথা ছিল, তারা ঠিকভাবে কাজটা করছে না, তাই আমি তাদের বেতন বন্ধ করে রেখেছি। তাদেরকে বদলি করানো জন্য চেষ্টা করছি। বিকল্প লোক পেলে তাদেরকে দিয়ে কাজ করাব।
টয়লেটের দরজার সিটকারি এবং পানি কল নেই কমোড ভেঙে পরে রয়েছে এ বিষয় জানতে চাইলে নোমান মিয়া বলেন, রোগী সেজে কিছু চোর ডুকে এগুলি খুলে নিয়ে যায়, আমরা যেখানে সমস্যা দেখি লাগানো চেষ্টা করি।