
ব্রাহ্মণবাড়িয়া।।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনা সভায় বক্তাগণ বলেন,আমরা ৭২ সালের সংবিধানে ফিরে যেতে চাই।
১৯৭১ সালের এই দিনে দখলদার পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এবং তাদের সহযোগী রাজাকার, আলবদর, আলশামস সম্মিলিতভাবে বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে। মুক্তিযুদ্ধের শেষলগ্নে ৬ থেকে ১৪ ডিসেম্বরের মধ্যে দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হত্যার মধ্য দিয়ে পুরো জাতিকে মেধাশূন্য করতে চেয়েছিল হানাদার বাহিনী। বক্তাগণ আরো বলেন,ঘাতকদের হাতে শহীদ দেশের সেইসব সূর্যসন্তানদের স্মরণে ১৪ ডিসেম্বর পালিত হয় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। বুদ্ধিজীবীদের হত্যার ঠিক দু’দিন পর ১৬ ডিসেম্বর জেনারেল নিয়াজির নেতৃত্বাধীন পাকিস্তানি বাহিনী আত্মসমর্পণ করে। অভ্যুদয় ঘটে স্বাধীন বাংলাদেশের। ১৪ ডিসেম্বর শ্রদ্ধার সঙ্গে পুরো জাতি শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণ করবে। তাই এ দিনটি জাতির বিবেক হত্যার কলঙ্কময় দিন।তারা বলেন,আমরা জেলা প্রশাসনের নিকট দাবী জানাই ব্রাহ্মণবাড়িয়া বুদ্ধিজীবী নুরুল কবীর,অধ্যাপক লুৎফুর রহমান,এডঃ সৈয়দ আকবর হোসেন এর নাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া যাদুঘরে এবং কাউতলী শহীদ বুূদ্বীজীবী সৃতিসৌধে আলাদা ভাবে লেখার অনুরোধ করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আজ মঙ্গলবার ১৪ ডিসেম্বর রিপোর্টার্স ক্লাবের উদ্যোগে মর্যাদায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে রিপোর্টার্স ক্লাবের হলরুমে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে সাধারন সম্পাদক প্রবীর চৌধূরী রিপনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় শহীদ বুদ্ধিজীবিদের স্মৃতি চারন করে আলোচকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সন্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আহবায়ক ও দৈনিক সমকাল পত্রিকার ষ্টাফ রিপোর্টার এডঃ আব্দুর নুর,উদীচী জেলা সংসদের সভাপতি জহিরুল ইসলান স্বপন,প্রগতিশীল জোটের আহবায়ক কমরেড নজরুল ইসলাম,জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি)’র জেলা সাধারন সম্পাদক এডঃ তৈমুর রেজা মোহাম্মদ শাহাজাদ, অধ্যাপক এডঃ শেখ মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন উদীচী জেলা সংসদের সাধারন সম্পাদক ফোরদৌস রহমান ও জেলা বাসদের সদস্য সচিব আবু সোহেল সরকার,জেলা খেলাঘর আসরের সাধারন সম্পাদক নীহার রন্জন সরকার ও বাংলাদেশ জাসদ জেলার সাধারন সম্পাদক জিয়া কারদার নিয়ন।সভায় বিভিন্ন প্রিন্ট পত্রিকা ও ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়াকর্মীসহ বিভিন্ন স্তরের লোকজন উক্ত আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন।