আমরা সময়ের কথা সময়ে বলি।

Advertisement

৮১ বছর আগের সরকারি স্কুলের নাম মুছে ফেলার অভিযোগ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর 31 December 2021 ২৩৪

ব্রাহ্মণবাড়িয়া।।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে ৮১ বছর আগের সরকারি স্কুলের নাম মুছে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্কুলটির নাম ‘মোহাম্মদপুর সরকারি বিদ্যালয়’ করা হয়েছে ‘গাংগীহাতা’ শব্দ বাদ দিয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার রামরাইল ইউনিয়নের ‘গাংগীহাতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের’ নাম মুছে ‘মোহাম্মদপুর সরকারি বিদ্যালয়’ নামকরণ করা হয়।৮১ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত হওয়া একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করার অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার ৩০ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় স্কুলের নাম মুছে ফেলা হয়। এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। খবর পেয়ে আজ শুক্রবার ৩১ ডিসেম্বর দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) স্কুলটি পরিদর্শন করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার রামরাইল ইউনিয়নে ‘গাংগীহাতা’ গ্রামের নাম ‘মোহাম্মদপুর’ নামে নামকরণ করেন স্থানীয়রা। তবে ‘গাংগীহাতা’ নামে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। বিদ্যালয়টি ১৯৪০ সালে প্রতিষ্ঠিত। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ছাত্রলীগের স্থানীয় নেতাকর্মীরা বিদ্যালয়টির প্রধান ফটকের সামনে দেওয়ালে লেখা নামটি মুছে ‘মোহাম্মদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়’ নামকরণ করেন। তবে বিদ্যালয়ে ভেতরে সিমেন্টের লেখা ‘গাংগীহাতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়’ নামটি ঠিকই রয়ে গেছে।
বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের বিষয়টি সকালে স্থানীয়দের নজরে এলে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে বিদ্যালয়ে আসেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইয়ামিন হোসেন।
বিদ্যালয়ের পাশের বাড়ির বাসিন্দা ও অফিস সহায়ক জুনায়েদ বলেন, এলাকাবাসী অনেকদিন ধরে চাচ্ছিলেন বিদ্যালয়ের নামটি বদল করে দিতে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এলাকার ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এসে স্কুলের নামটি মুছে দেন।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহমুদা বেগম কথা বললে তিনি বলেন, সন্ধ্যায় স্কুলে কেউ না থাকায় এ কাজটি করা হয়েছে। আমি বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়ামিন হোসেন বলেন, গেজেট অনুযায়ী স্কুলটির নাম গাংগীহাতা। তবে নামটি কারা মুছে ফেলেছে তা আমার জানা নেই। বিষয়টি শিক্ষা সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. খোরশেদ আলম বলেন, ‘বিষয়টি প্রধান শিক্ষককে লিখিতভাবে জানাতে বলা হয়েছে। যদি গ্রামের লোকজন স্কুলের নাম বদল করতে চান,তাহলে নিয়ম অনুযায়ী আমাকে লিখিত আবেদন করতে হবে। তারপর যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে মন্ত্রণালয় বিদ্যালয় নাম বদল করতে ব্যবস্থা নেবে। নাম মুছে দিলে তো আর গেজেট পরিবর্তন হবে না।’
এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভন বলেন, স্থানীয় নেতাকর্মীরা স্কুলের নাম পরিবর্তনের বিষয়টি আমাকে জানিয়েছেন। যারা এ ঘটনায় জড়িত তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।