
বিজয়নগর।।
বিকল্প কোনো ব্যবস্থা না থাকায় বাধ্য হয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন জেনেও সেখানে পাঠদান চলছে।এই ভবনের ৪টি কক্ষ রয়েছে। এরমধ্যে ৩টিতে শ্রেণি কার্যক্রম চলে আসছে আর একটি কক্ষ অফিস হিসেবে ব্যবহৃত হয়। পুরো ভবনটাই ঝুঁকিপূর্ণ।বিদ্যালয়ের ভবনটি দূরে থেকে বোঝার কোনো উপায় নেই, কিন্তু ভেতরে গেলে চোখে পড়ে ছাদে ও দেয়ালের পলেস্তারা খসে পড়ার চিত্র। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার হরষপুর ইউনিয়নের ৮০নং জালালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। এভাবে ঝুঁকি নিয়ে তিনটি কক্ষে শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেওয়া হচ্ছে। এতে আতঙ্কে রয়েছেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিবাবকরা।
উপজেলার হরষপুর ইউনিয়নের জালালপুর গ্রামে ১৯৯০ সালে ৩৩ শতাংশ জমির উপ বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৯৮ সালে বিদ্যালয়ের জন্য তিন কক্ষবিশিষ্ট একতলা ভবন নির্মাণ করা হয়। ২০১৩ সালে বিদ্যালয়টি সরকারি হয়। বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৮৬। শিক্ষক রয়েছেন ৪ জন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, গ্রামের ভিতরে অবস্থিত বিদ্যালয়টিতে শিক্ষার্থীদে পাঠদান চলছে। শ্রেণি কক্ষে প্রবেশ করলেই দেখা যায় বিল্ডিংয়ের ছাদ থেকে আস্তর উঠে পরছে। ক্লাস চলাকালীন সময় উপর থেকে সিমেন্টের আস্তর উঠে পড়ছে। বিদ্যালয়ের মাঠ ও ভবনের ছাদ দখল করে স্থানীয় কতিপয় লোকজন ব্যবহার করে ধান ও লাকরী শুকায়। এতে করে সুষ্ঠু শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সুমাইয়া, বায়েজিদ, সানি, জান্নাতুল মাওয়া বলেন, আমাদের বিদ্যালয়টি পুরাতর হয়ে গেছে। স্কুলের ছাদ থেকে সিমেন্ট উঠে আমাদের শরীরের উপর পরে। আমরা সারাক্ষণ ভয়ে থাকি। আমাদের স্কুলে নতুন একটা ভবন দরকার।
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল হামিদ জানান, বিদ্যালয় ভবনের অবস্থা তেমন ভালো না। সিমেন্ট উঠে যাচ্ছে। ভবনটা ঝুঁকিপূর্ণ। একটা নতুন ভবনের জন্য আবেদন করেছি। একটা ভবন খুবই দরকার। বিদ্যালয়ের বাথরুমের অবস্থাও বেহাল। যা ব্যবহারের অনুপযোগী। বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর না থাকায় বিদ্যালয়ের মাঠের উপর দিয়ে অটোরিকশা, মোটরসাইকেল, সিএনজি চলাচল করে। যা ছোট্ট শিক্ষার্থীদের জন্য বিপদজনক।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার শাহনেওয়াজ পারভীন জানান, বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করে যদি পরিত্যক্ত মনে হয় তাহলে পরিত্যক্ত করা হবে।