আমরা সময়ের কথা সময়ে বলি।

Advertisement

ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাণিজ্য মেলায় মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি।। দর্শনার্থীদের উপছে পড়া ভীড়

জাতীয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর 17 January 2022 ২৫৬

ব্রাহ্মণবাড়িয়া।।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের কাউতলী’তে নিয়াজ মোহাম্মদ স্টেডিয়ামে চলছে ম্যাসব্যাপী চলছে শিল্প ও বাণিজ্য মেলা। এ মেলায় প্রতিদিনই বাড়ছে দর্শনার্থীদের ভীড়। সরকারি বিধিনিষেধ উপেক্ষা করেই মেলা চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ দর্শনার্থীসহ সচেতন মহলের। বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত জমজমাট এই মেলায় মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। মেলায় ঘুরতে আসা অনেক দর্শনার্থী মাস্ক পরিধান করলেও অনেকেই মাস্ক ছাড়াই ঘুরাফেরা করছেন। বিক্রেতাদেরও দেখা গেছে মাস্ক হাতে বা থুতনিতে রেখে বেচাকেনা করছেন। সরকার আরোপিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা বা বিশেষতঃ মাস্ক পড়ার বিষয়ে মেলা আয়োজকও কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। গত ২৩ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই বাণিজ্য মেলায় প্রতিদিনই এভাবে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত হচ্ছে।
এদিকে গত শনিবার (১৫ জানুয়ারি) করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলার একজন মৃত্যুবরণ করেছেন। ওইদিন করোনাভাইরাসে শনাক্ত হয়েছিলেন ৮ জন। পরদিন রোববার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় ১০ জন শনাক্ত হয়েছেন করোনাভাইরাসে। এর মধ্যে সদর উপজেলার ৮ জন। শনিবারে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণকারী জেলায় চলতি বছরের প্রথম মৃত্যু। সাথে সাথে করোনা সংক্রমণেও রয়েছে উর্ধ্বগতি। ফলে বাড়ছে উদ্বেগ ও উৎকন্ঠা। এ অবস্থায় জনসমাগম রোধে দাবী তোলা হচ্ছে সচেতন মহল থেকে।
কাউতলী বাণিজ্য মেলায় আসা দর্শনার্থীরা বলেন- কর্তৃপক্ষদের স্বাস্থ্যবিধির ব্যাপারে নজর দেওয়া উচিত। ইদানিং ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় করোনা প্রকোপ বাড়ছে। বিষয়টি কর্তৃপক্ষসহ প্রশাসনের নজর দেওয়া উচিত বলে মনে করেন তারা।
বাণিজ্য মেলার এক বিক্রেতা বলেন- আমরা মাস্ক পড়ে থাকি। তবে মুখে মাস্ক রেখে ক্রেতা-দর্শনার্থীদের সাথে ভালোভাবে কথা বলতে পারি না, তাই মাস্ক খুলে রাখতে হয়।
বাণিজ্য মেলা আয়োজকদের পক্ষে মোঃ শাহআলম বলেন- দেশে যে অবস্থা, এ অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে সরকার আমাদেরকে যখনই বলবে মেলা বন্ধ করতে, আমরা তখনই বন্ধ করে দেব।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিভিল সার্জন ডা. মোঃ একরাম উল্লাহ বলেন- সরকার সম্প্রতি যে বিধিনিষেধ জারি করেছে তাতে সবধরণের গণজমায়েত নিরুৎসাহিত করছি। তবে বাণিজ্য মেলার বিষয়ে এখনো সরকারের পক্ষ থেকে কোনো নির্দেশনা পাই নি। আইনগত যে ব্যবস্থা আছে তা আইন শৃঙ্খলা বাহিনী গ্রহণ করবে।