
সরাইল।।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার মলাইশ গ্রাম থেকে চোলাই মদসহ ৩ ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে। শুক্রবার দিবাগত রাতে উপজেলার শাহজাদাপুর ইউনিয়নের মলাইশ গ্রামে অভিযান চালিয়ে এদেরকে গ্রেপ্তার করেছে সরাইল থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর তাদের কাছ থেকে পলিথিন দিয়ে প্যাকেট করা ৭০ লিটার চোলাই মদ উদ্ধার করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানায়, মলাইশ গ্রামে দীর্ঘ দিন ধরে ২টি গ্রুপ মাদকের ব্যবসা করে আসছে। এক গ্রƒপ সরাইলের কালীকচ্ছ ঋষি বাড়ি থেকে চোলাই মদ ক্রয় করে শাহবাজপুর ও শাহজাদাপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে নিয়ে বিক্রি করে। দল বেঁধে রাতে দিনে মলাইশ গ্রামের বিভিন্ন পয়েন্টে বসে মদ পান করে থাকে। অনেকে সন্ধ্যার পর বাজারে প্রকাশ্যে হেঁটে হেঁটে চোলাই মদ পান করে আসছে। কেউ প্রতিবাদ করলে মদ ব্যবসায়ি ও মদ্যপরা উল্টো হুমকি দেয়। আরেকটি গ্রƒপ মলাইশসহ আশপাশের এলাকায় গাঁজা ও ইয়াবা ট্যাবলেট বিক্রি করে আসছে।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার রাত ১০টার দিকে একদল পুলিশ মলাইশ গ্রামে অভিযান চালায়। অভিযানকালে চোলাই মদ পানের আসর থেকে ব্যবসায়ি ও সেবনকারী গ্রুপের নেতা চিকন্ত চন্দ্র দাসের ছেলে টিটন চন্দ্র দাস (৪৫), কমল কান্ত দাসের ছেলে প্রতুষ দাস (৩৫) ও ওয়ারিশ দাসের ছেলে জয় কৃষ্ণকে (৩৫) হাতেনাতে গ্রেপ্তার করেন। পরে তাদের দেয়া তথ্য অনুসারে অভিযান চালিয়ে বিক্রির জন্য মজুদ করে রাখা ৭০ লিটার চোলাই মদ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এই ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে তাদের বিরূদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করেছেন। শনিবার আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।এদিকে, ৩ মাদক কারবারি গ্রেপ্তারের খবরে স্বস্তির নি:শ্বাস ফেলেছে স্থানীয় লোকজন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি বলেন, রাতের বেলা এরা মদ পান করে চিৎকার করে অশালীন কথাবার্তা বলে বেড়ায়। ওঠতি বয়সের ছেলেদের কাছে চোলাই মদ বিক্রি করে আসছিল। ফলে এলাকার অনেক স্কুল পড়–য়া ছাত্ররাও মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছে। প্রতিবাদ করলে গালমন্দ করে ও মারধরের হুমকি দেয়। কারণ এদের পেছনে রয়েছে বেকার সর্দার নামধারী কিছু ব্যক্তি। এরা থানা পুলিশের কন্টাক ও নিয়ে থাকে।
সরাইল থানার ওসি মো. আসলাম হোসেন বলেন, মাদকের বিরূদ্ধে আমরা জিরো টলারেন্স। মাদক ব্যবসায়ি সেবনকারী কাউকে আমরা ছাড় দেওয়া হবে না। মাদকমুক্ত করতে যা যা করণীয় এর সবটাই আমরা এবং করে যাব।