
নবীনগর।।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর বিটঘর ইউনিয়ন থেকে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এ.কে.এম. আশরাফুল আলম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। জামানত হারিয়েছেন।
জানা যায়, পেশায় আইনজীবী একেএম আশরাফুল আলম ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে প্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ (নবীনগর) আসনে বাংলাদেশ মুসলিম লীগের মনোনীত প্রার্থী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এই নির্বাচনে মুসলিম লীগের প্রতীক হারিকেনে তিনি পেয়েছিলেন মাত্র ৯৭ ভোট। এই আসনে আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ এবাদুল করিম ২৫ হাজার ১৫২২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। ফলে জামানত বাজেয়াপ্ত হয় আশরাফুল আলমের। এরপরের বছর ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত হওয়া নবীনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধিতা করেন অ্যাডভোকেট এ. কে. এম আশরাফুল আলম। ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে তার মাইক প্রতীকে ভোট পান ২৭৩৯ ভোট। এই নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে জাকির হোসেন সাদেক চশমা প্রতীকে ২৪ হাজার ৯১১ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেন। ফলে সেবারও তিনি জামানত হারান। সোমবার অনুষ্ঠিত বিটঘর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে টেলিফোন প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এ.কে.এম. আশরাফুল আলম। ভোট গণনা শেষে রাতে প্রকাশ করা বেসরকারি ফলাফলে এই ইউনিয়ন থেকে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগের মনোনীত নৌকা প্রতিকের প্রার্থী মেহেদী জাফর ৬৭২৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. কিবরিয়া ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ৩৮৯২ ভোট।
এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা চেয়ারম্যান প্রার্থী এ.কে.এম. আশরাফুল আলম টেলিফোন প্রতীকে পেয়েছেন ৯২ ভোট। এছাড়াও হাসান উল্লাহ চশমা প্রতীকে পেয়েছেন ৩৭ ভোট, জাতীয়পার্টি মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ আবু মোছা লাঙ্গল প্রতীকে ৪৫ ভোট, সোলাইমান ভূইয়া সোহাগ মোটরসাইকেল প্রতীকে ৩৫০ ভোট, আবুল হোসেন আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ২৫৭১ ভোট। এই ইউনিয়নে মোট বৈধ ভোট পড়েছে ১৩ হাজার ৭১৫ ভোট। নির্বাচন কমিশনের আইন অনুযায়ী নির্বাচনে প্রদত্ত বৈধ ভোটের ৮ ভাগের এক ভাগ ভোট কোনো প্রার্থী না পেলে তার জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। সে অনুযায়ী বিটঘর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ১৩ হাজার ৭১৫ ভোটের ৮ ভাগের এক ভাগ ১৭১৪ ভোট যেসব প্রার্থীরা পাননি তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। নবীনগর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আজগর আলী এই ফলাফল নিশ্চিত করেন।