আমরা সময়ের কথা সময়ে বলি।

Advertisement

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ সংক্রান্ত কমিটির বিশেষ জরুরী সভা অনুষ্ঠিত

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর 7 February 2022 ১৯৭

ব্রাহ্মণবাড়িয়া।।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম বলেছেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রশাসন করোনার সংক্রমণরোধে নিরন্তরভাবে কাজ করে যাচ্ছে। জনসচেতনতা সৃষ্টিতে প্রতিদিন প্রচারণা চালিয়ে জনগনকে সচেতন করা হচ্ছে। এছাড়াও যেখানে স্বাস্থ্যবিধি বিঘিœত হচ্ছে সেখানে অভিযান চালিয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে। তিনি ভ্যকসিনেশন কার্যক্রমকে আরো গতিশীল করতে সংশ্লিষ্টদের বিভিন্ন দিক নির্দেশনা প্রদান করে আরো বলেন, জেলার বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠীর ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। তবে এখনো যারা টিকা নেননি তাদেরকে টিকার আওতায় আনতে বিভিন্ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। সোমবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ সংক্রান্ত জেলা কমিটির বিশেষ জরুরী সভায় জেলা প্রশাসক এ কথা বলেন। জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সভায় সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক আরও বলেন- জেলার নাগরিকদের পরিপূর্ণভাবে টিকার আওতায় আনতে জেলা প্রশাসন, স্বাস্থ্যবিভাগসহ সংশ্লিষ্টরা কাজ করে যাচ্ছে। তিনি এ সময় করোনার সংক্রমণরোধে সকলকে একযোগে কাজ করে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, সম্মিলিত প্রয়াসেই এই মহামারির হাত থেকে দেশ ও জাতিকে রক্ষা করতে হবে।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মোঃ আনিসুর রহমান, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার, সিভিল সার্জন ডাক্তার মোঃ একরাম উল্লাহ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ রুহুল আমীন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি রিয়াজউদ্দিন জামি প্রমূখ।
সভায় জেলার করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি ও ভ্যাক্সিনেশন পরিস্থিতি বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় এবং জেলায় শতভাগ ভ্যাক্সিনেশন নিশ্চিত করার জন্য বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। এছাড়াও সভায় বক্তারা “নো ভ্যাকসিন নো সার্ভিস” বাস্তবায়নে গুরুত্বারোপ করেন এবং স্ব স্ব দাপ্তরিক ও ব্যক্তিগত পর্যায়ে সর্বোচ্চ সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন। সভায় করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ ও নাগরিকদের মধ্যে টিকা গ্রহণ বিষয়ক সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে পৌর এলাকা এবং ইউনিয়নসমূহে ওয়ার্ড পর্যায়ে ব্যাপক প্রচারণা এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নেতৃত্বে এখনো টিকা গ্রহন করেনি এমন ব্যক্তিদের সনাক্ত করে টিকার আওতায় আনতে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এছাড়াও পৌর শহরের টেংকের পাড় ও নিয়াজ মুহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ে নতুন দুটি নিয়মিত ভ্যাকসিনেশন সেন্টার স্থাপন ও জেলার সকল কওমি মাদর্সাার শিক্ষার্থী (১২ বছরের উর্ধ্বে) ও সকল কারখানার মালিক এবং শ্রমিকগনকে টিকার আওতায় আনার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট ও সময়াবদ্ধ সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।
সভায় জেলার বিভিন্ন উপজেলার চেয়ারম্যান, পৌর মেয়র, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরের প্রতিনিধিগন উপস্থিত ছিলেন।