
ডেস্ক।।
১৯৮৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি আজকের দিনে কি ঘটেছিলো সে দিন এক জন নয় দু’জন নয় অতন্ত একসাথে ৫০ জন ছাত্রকে গুলি করে হত্যা করা হয়। গ্রেফতার করা হয় ১১০০ ছাত্রকে। সে ইতিহাস জানতে হলে ফিরে তাকাতে হবে ইতিহাসের পেছনে যখন সামরিক শাসক জেনারেল এরশাদের শিক্ষামন্ত্রী ড. মজিদ খান ১৯৮২ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর একটি নতুন শিক্ষানীতির প্রস্তাব করেন। এবং সেই শিক্ষানীতি অনেকটা পাকিস্তান সরকারের আমলে প্রণীত শরীফ শিক্ষা কমিশন বা হামিদুর রহমান শিক্ষা কমিশনের আদলে সেখানে প্রথম শ্রেণী থেকেই আরবি ও দ্বিতীয় শ্রেণী থেকে ইংরেজি শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়। উচ্চশিক্ষা অর্জনের জন্য মাপকাঠি করা হয় মেধা অথবা পঞ্চাশ শতাংশ ব্যয়ভার বহনের ক্ষমতা। অর্থাৎ টাকা যার শিক্ষা তার এই নীতি বাস্তবায়ন ছিল মূল উদ্দেশ্য।
কিন্তু এদেশের অদম্য সাহসী ছাত্র সমাজ তা প্রতিহত করতে ঐ শিক্ষা কমিশন বাতিলের দাবিতে আন্দোলনের ডাক দেন এরই ধারাবাহিকতায় ১৪ ফেব্রুয়ারিতে স্মারকলিপি দিতে শিক্ষার্থীরা মিছিল করে সচিবালয়ের দিকে যাবার সময় পুলিশ গুলি চালায়। ”সেদিন পুলিশের গুলিতে অন্তত ৫০জন নিহত হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়। কিন্তু দুজনের মৃতদেহ পাওয়া যায়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বাকি মৃতদেহগুলো গুম করে ফেলে। তাদের স্বজনরা অনেক খোঁজাখুঁজি করে স্বজনদের কোন খোঁজ আর পাননি।”
তবে হতাহতের এই সংখ্যার বিষয়ে তখন সরকারিভাবে কোন বক্তব্য দেয়া হয়নি।
”সেদিন থেকে এই দিনটিকে স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস হিসাবে বলা হয়’ কতটা অমানবিক নিষ্ঠুরতা কেটেছিল দিনটা একবার চিন্তা করলেই গা শিউরে ওঠে, আর অন্য দিকে বিশ্ব জুড়ে পালিত হাওয়া ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবস ১৯৯৩ সালের দিকে সাংবাদিক শফিক রেহমানের হাত ধরে বাংলাদেশ ভালোবাসা দিবস উদযাপন করতে শুরু করে। তরুণ-তরুণীর কাছে ভালোবাসা দিবস ব্যাপক উচ্ছাসের একটি দিন হয়ে ওঠায় চাপা পড়ে যায় স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস।