আমরা সময়ের কথা সময়ে বলি।

Advertisement

আখাউড়ায় প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী

আখাউড়া 16 February 2022 ১৬৬

আখাউড়ায় প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী
সবার নজর ৭০ কেজি ওজনের গাড়লের দিকে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় গতকাল বুধবার দিনব্যাপী প্রাণিসম্পদ প্রদর্শণী অনুষ্ঠিত হয়।  গতকাল বুধবার সকালে প্রাণীসম্পদ কার্যালয়ের সামনে প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাছরীন শফিক আলেয়া। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ সাইফুল ইসলাম, পৌর কাউন্সিলর বাবুল মিয়া, কাউন্সিলর শেখ জান্নাত হোসেন ইশান প্রমুখ। দিনব্যাপী প্রদর্শনীতে বিভিন্ন প্রাণী নিয়ে ২৩টি স্টল স্থান পায়।
স্টলগুলোতে  গরু, ছাগল, ভেড়াসহ নানা জাতের কবুতর থাকলেও সবার দৃষ্টি আকর্ষন করে ৭০ কেজি ওজনের একটি গাড়লের (উন্নত জাতের ভেড়া) দিকে।
গাড়লের স্টলের সামনে গিয়ে দেখা যায়- এর মালিক মন্তাজ মিয়া গাড়লটিকে ভুসি খাওয়াচ্ছেন। আখাউড়া উপজেলার নয়াদিল গ্রামের উত্তর পাড়ার মন্তাজ মিয়ার গবাদি পশুর একটি খামার আছে। গ্রামেই করেছেন তার খামার। মন্তাজ মিয়া তার খামারে গরু, মহিষ, ভেড়া সহ নানা জাতের পশু পালন করেন। এক বছর আগে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সুহিলপুর গ্রাম থেকে ৩০ হাজার টাকা দিয়ে ৬ ছয় মাস বয়সী একটি গাড়লের বাচ্চা কিনেন। বর্তমানে গাড়লটির ওজন প্রায় ৭০ কেজি।
মন্তাজ মিয়া বলেন, তার খামারে এখন ১০টি  গাড়ল আছে। তিনি বলেন, গাড়লের কোন রোগবালাই নেই। সারাদিন গাড়লগুলো মাঠে চড়ান। রাতে খামারে নিয়ে ঘাস, বন ও ভুসি খাওয়ান।
প্রদর্শনী দেখতে আসা আখাউড়া পৌর এলাকার দেবগ্রামের বাসিন্দা আনিস মিয়া বিষ্ময় প্রকাশ করে বলেন, এতো বড় ভেড়া আমি আগে  কোথাও দেখিনি। ভেড়াটিকে দেখলে প্রথমেই গরুর বাছুর মনে হয়।
পৌর এলাকার রাধানগর গ্রামের বাসিন্দা সাদেক মিয়া বলেন, ৭০ কেজি ওজনের ভেড়ার কথা শুনে প্রদর্শনীতে দেখতে এসেছি।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ জুয়েল মজুমদার বলেন, গাড়ল ভেড়ার একটি উন্নতজাত। গবেষকরা ধারণা করছেন, বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল সীমান্ত এলাকা ও ভারতের পশ্চিম বঙ্গের মোদেনীপুর  এবং মালদহ অঞ্চলে এর আদি নিবাস। এই জাতটি অন্যান্য জাতের ভেড়া থেকে কিছুটা আলাদা। এই  জাতের ভেড়ার দ্রুত বড় হয়। মাংস উৎপাদন হয় অনেক বেশি। এই কারণে অন্যান্য জাতের ভেড়ার চেয়ে এই জাতের ভেড়া পালন করে খামারিরা অনেক বেশি লাভবান হয়।